উন্নত চিকিৎসায় সেরে উঠে ৭০ শতাংশ রোগী

বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস আজ

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৫ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ১০:২৭ পূর্বাহ্ণ

আজ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০তম বিশ্ব শিশু ক্যান্সার দিবস। প্রতিবছর ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা বাড়ছেই। সারাবিশ্বে বিভিন্ন ক্যান্সারে প্রায় ৪ লাখ শিশু আক্রান্ত হয়। দেশভেদে এই আক্রান্ত শিশুদের মধ্যে শতকরা ২০ থেকে ৮০ শতাংশ পর্যন্ত অকাল মৃত্যুর শিকার হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে শিশুদের সাধারণত ব্লাড ক্যান্সার বেশি হচ্ছে। তবে নসিকাগ্রন্থি, কিডনি এবং চোখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়া শিশুর সংখ্যাও কম নয়। তবে বেশির ভাগ শিশুর ক্যান্সার নিরাময়যোগ্য। শনাক্ত করা গেলে এবং উন্নত চিকিৎসা পেলে ৭০ শতাংশ রোগী সেরে ওঠেন। কিন্তু মাত্র ২০ শতাংশ রোগী উন্নত চিকিৎসার সুযোগ পান।
ওয়ার্ল্ড চাইল্ড ক্যান্সারের হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বে প্রতিবছর ২ লাখ শিশু ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। আর এর মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশগুলোতেই আক্রান্ত হয় শতকরা ৮০ ভাগ। এখানে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের বেঁচে থাকার হার মাত্র ৫ ভাগ। অন্যদিকে, উন্নত দেশগুলোয় এই হার শতকরা ৮০ ভাগ।
সংস্থাটির তথ্য মতে, বর্তমানে ক্যান্সার আক্রান্ত শিশুদের মৃত্যুর হার আশঙ্কাজনকভাবে বাড়ছে। বাংলাদেশে প্রায় ১৩ থেকে ১৫ লাখ ক্যান্সার আক্রান্ত শিশু রয়েছে। ২০০৫ সালেই ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে শিশু মৃত্যুর হার ছিল ৭ দশমিক ৫ শতাংশ। আর সচেতন না হলে ২০৩০ সালে এ হার দাঁড়াবে ১৩ শতাংশে।
ক্যান্সার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মূলত জেনেটিক কারণেই শিশুরা ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। মায়ের পেটে ভ্রুণ অবস্থায় শিশুরা ক্যান্সার হবে এ ধরনের জিন নিয়ে তৈরি হয়। পরবর্তীকালে সেটা প্রকট আকার ধারণ করে। তবে আশার কথা হচ্ছে, শিশুদের বেশিরভাগ ক্যান্সারই নিরাময় হয় যদি সময়মতো, সঠিক উপায় বিশেষায়িত হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়।
এদিকে শিশু ক্যান্সার দিবসকে কেন্দ্র করে আজ দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে শিশু ক্যান্সার সেবা এবং সহায়ক সংগঠন চিলড্রেন লিউকোমিয়া অ্যাসিসটেন্স অ্যান্ড সাপোর্ট সার্ভিসেস (ক্লাশ)। অপরদিকে শিশু ক্যান্সার দিবস উপলক্ষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের অনকোলজি বিভাগও কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। আজ সকালে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ড সংলগ্ন কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভার আয়োজন করেছে চিকিৎসকরা।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসারাদেশে ৭ দিনে টিকা নিল ৯ লাখ
পরবর্তী নিবন্ধপাট কেনার নামে আড়াই কোটি টাকা আত্মসাৎ