এবারের উইমেন’স ওয়ানডে বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচেই দেখা যাবে বাংলাদেশের সাথিরা জাকির জেসিকে। এ দিন অবশ্য মাঠে নয়, তাকে দেখা যাবে চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে। তবে মাঠের আম্পায়ার, টিভি আম্পায়ার ও চতুর্থ আম্পায়ার মিলিয়ে বিশ্বকাপের ৯টি ম্যাচের আম্পায়ার্স প্যানেলে থাকছেন বাংলাদেশের এই আম্পায়ার। এবারই প্রথম ওয়ানডে বিশ্বকাপ পরিচালনায় আম্পায়ার্স প্যানেলে থাকছেন সব নারী আম্পায়ার। সেই ইতিহাসের অংশ হচ্ছেন সাথিরা। বাংলাদেশের ক্রিকেটে এর মধ্যেই বেশ কিছু প্রথমের জন্ম হয়েছে সাথিরার হাত ধরে। সেই তালিকায় যুক্ত হচ্ছে এই বিশ্বকাপও। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হতে যাচ্ছেন তিনি। উদ্বোধনী ম্যাচের আগেই অবশ্য শুরু হয়ে যাবে সাথিরার বিশ্বকাপ। আগামী বৃহস্পতিবার বেঙ্গালুরুতে অফিসিয়াল প্রস্তুতি ম্যাচে নিউজিল্যান্ড ও ভারতীয় ‘এ’ দলের লড়াইয়ে থাকবেন তিনি মাঠের আম্পায়ার হিসেবে। এরপর ৩০ সেপ্টেম্বর গুয়াহাটিতে উদ্বোধনী ম্যাচে ভারত ও শ্রীলঙ্কার লড়াইয়ে তার দায়িত্ব চতুর্থ আম্পায়ারের। গা গরমের ম্যাচটিসহ মাঠের আম্পায়ার হিসেবে দাঁড়াবেন তিনি মোট পাঁচটি ম্যাচে। তাকে দেখা যাবে গুয়াহাটিতেই ৩ অক্টোবর ইংল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ে, ৬ অক্টোবর ইন্দোরে নিউ জিল্যান্ড–দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াইয়ে, ১৫ অক্টোবর কলম্বোতে ইংল্যান্ড–পাকিস্তান ম্যাচে ও ২৬ অক্টোবর বিশাখাপাত্নামে ইংল্যান্ড–নিউজিল্যান্ডের খেলা। উদ্বোধনী ম্যাচের পর চতুর্থ আম্পায়ার হিসেবে কাজ করবেন তিনি ১১ অক্টোবর কলম্বোতে শ্রীলঙ্কা–ইংল্যান্ড ম্যাচে। টিভি আম্পায়ারের দায়িত্বে তাকে দেখা যাবে ১৯ অক্টোবর ইন্দোরে ভারত–ইংল্যান্ড ম্যাচে ও ২৩ অক্টোবর মুম্বাইয়ে ভারত–নিউজিল্যান্ড লড়াইয়ে। আপাতত শুধু প্রাথমিক পর্বের ম্যাচগুলো আম্পায়ারদের তালিকা শনিবার প্রকাশ করেছে আইসিসি। সেমি–ফাইনাল ও ফাইনালের আম্পায়ারদের নাম জানানো হবে পরে। গত বছর আইসিসি ডেভেলপমেন্ট প্যানেলের আম্পায়ার হিসেবে তালিকাভুক্ত হন সাথিরা। পরে উইমেন’স এশিয়া কাপ ও অনূর্ধ্ব–১৯ উইমেন’স এশিয়া কাপে আম্পায়ারিং করেন। বাংলাদেশের প্রথম নারী আম্পায়ার হিসেবে তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন ছেলেদের ক্রিকেটে। কিছুদিন আগে সিলেটে বাংলাদেশ–নেদারল্যান্ডস সিরিজে টিভি আম্পায়ার ছিলেন তিনি।