কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সহিংসতা ও প্রাণহানির ঘটনার দায় চাপাতেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালিয়ে বিএনপি নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে তার অভিযোগ, ‘রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসকে আড়াল করতে এবং ‘উদোর পিণ্ডি বুধোর ঘাড়ে’ চাপানোর অপকৌশল হিসেবে বিএনপির নির্দোষ নেতাকর্মীদের বাড়ি বাড়ি অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার, কিংবা বাসায় না পেয়ে তাদের সন্তান কিংবা বাসার সদস্যদের গ্রেপ্তার ও অশালীন আচরণসহ বাড়ির আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার মিথ্যা অভিযোগে ঢালাওভাবে বিএনপি ও বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর সরকার এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কতিপয় সদস্য দোষারোপ করছে। যদি তাই হয়, তাহলে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়নি কেন, এটাই জনগণের প্রশ্ন। এতে প্রমাণিত হয় যে, বিএনপি কিংবা বিরোধী দলের কেউই সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়। আমরা এমন ঘটনার নিন্দা জানাচ্ছি।’ খবর বিডিনিউজের।
কোটা সংস্কারের আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার পর থেকে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা আমীর খসরু, আমান উল্লাহ আমান, রুহুল কবীর রিজভীসহ অনেকে গ্রেপ্তার হয়েছেন। বিভিন্ন জেলার নেতাকর্মীদেরও গ্রেপ্তারের খবর আসছে। বিএনপি মহাসচিবের অভিযোগ, ‘শত শত নিরীহ ছাত্রছাত্রীদের সরকারি দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা হতাহত করল, অথচ সরকারের ইশারায় বিচারবিভাগীয় তদন্ত কমিটি শুধু ছয়জনের হত্যাকাণ্ডের তদন্ত করবে। এটি সুকৌশলে পুরো হত্যাকাণ্ডকে ধামাচাপা দেওয়ারই নামান্তর। তাই জনগণ পুরো ঘটনা ও হত্যাকাণ্ড নিয়ে আন্তর্জাতিক তদন্তের দাবি করে। নইলে ব্যর্থতার সকল দায় নিয়ে অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিৎ বলে জনগণ মনে করে।’