আওয়ামী লীগের শান্তি সমাবেশ ও দক্ষিণ জেলা বিএনপির পদযাত্রা কর্মসূচি ঘিরে গত দুইদিন ধরে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল পটিয়া। এ উত্তাপের মাঝে দুই দলের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি সম্পন্ন করতে পুলিশও ছিল বেশ তৎপর। যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সামাল দিতে পটিয়ায় সকাল থেকে অতিরিক্ত ১০০ জন পুলিশ মোতায়েন করা হয়। এছাড়াও পটিয়া থানার অর্ধশত পুলিশ ছিল প্রস্তুত। দুই দলের এ কর্মসূচি ঘিরে নিয়োজিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল মামুন ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাকিবুল ইসলাম।
স্থানীয় সূত্র জানায়, মাত্র ৪শ গজের ব্যবধানে প্রধান দুই দলের কর্মসূচিকে ঘিরে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছিল পুরো পটিয়ায়। যার কারণে পুলিশের সাঁজোয়া যান ও জল কামানসহ নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা বলয় তৈরি করে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে এসব রণসজ্জাকে ছাপিয়ে দুই দলই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি উদযাপন করেছে।
গতকাল বিকেল ৩টায় মহাসড়কের পটিয়ার দলীয় কার্যালয়ের সামনে সমাবেশ শেষে বিশাল পদযাত্রা বের করে দক্ষিণ জেলা বিএনপি। বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসা ও মুক্তির দাবিতে কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে তাদের এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়। অন্যদিকে একই সময়ে মহাসড়কের থানার মোড় চত্বরে বিএনপির নৈরাজ্যের অভিযোগে শান্তি সমাবেশ করে পটিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগ। দুই দলই শান্তিপূর্ণভাবে কর্মসূচি শেষ করায় স্থানীয় জনসাধারণ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচেন। তারা এ কর্মসূচি ঘিরে ব্যাপক সংঘর্ষের আশঙ্ক্ষা করেছিল।
কয়েকজন স্থানীয় ব্যক্তি জানান, দুই দলের পৃথক কর্মসূচিতে একে অপরকে বক্তব্যের ভাষায় ঘায়েল করলেও দাঙ্গা হাঙ্গামার মত ছিল না কোনো ঘটনা। তবে সমাবেশে দুই দলের বেশ কিছু কর্মী সমর্থকদের হাতে লাঠিসোটা দেখা গেছে।
পটিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ প্রিটন সরকার জানান, যেহেতু প্রধান বড় দুই দলের একই সময়ে কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয় তাতে একটু আধটু উত্তেজনা থাকবেই। পুলিশ মানুষের জানমাল রক্ষা ও তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। তবে যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবেলায় পুলিশ সর্বাত্মক প্রস্তুত ছিল।












