উত্তর কোরিয়া তাদের রাজধানী পিয়ংইয়ংয়ের বিমানবন্দর থেকে দু’টি স্বপ্ল-পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে বলে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী জানিয়েছে।
সোমবার ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র দু’টি ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র হতে পারে বলে জানিয়েছে তারা। খবর বিডিনিউজের।
এই নিয়ে চলতি মাসে এ পর্যন্ত চারটি ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালাল উত্তর কোরিয়া। জাপান সরকারও এই ক্ষেপণাস্ত্র উৎক্ষেপণের কথা জানিয়েছে। একে আঞ্চলিক শান্তি ও নিরাপত্তার জন্য হুমকি অভিহিত করে এর নিন্দা জানিয়েছেন দেশটির চিফ ক্যাবিনেট সেক্রেটারি হিরোকাজু মাতসুনো।
পারমাণবিক ক্ষমতাধর উত্তর কোরিয়া দুই সপ্তাহেরও কম সময়ের মধ্যে আরও তিনটি ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে। এর মধ্যে দু’টি পরীক্ষা ছিল ‘হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রের’, এসব ক্ষেপণাস্ত্র অত্যন্ত দ্র“তগতির ও সুনিয়ন্ত্রিত। শুক্রবার সর্বশেষ পরীক্ষায় ট্রেন থেকে দু’টি স্বল্প-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (এসআরবিএম) ছুড়েছিল তারা। এক বিবৃতিতে দক্ষিণ কোরিয়ার জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ জানিয়েছে, সোমবারের উৎক্ষেপণে পিয়ংইয়ংয়ের সুনান বিমানক্ষেত্র থেকে পূর্বদিকে দু’টি এসআরবিএম ছোড়া হয়েছে। উত্তর কোরিয়া ২০১৭ সালে তাদের হওয়াসং-১২ মধ্যপাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের (আইআরবিএম) পরীক্ষামূলক উৎক্ষেপণের জন্য এই বিমানবন্দরটি ব্যবহার করেছিল। ওই বছরের পর থেকে উত্তর কোরিয়া আর দীর্ঘ-পাল্লার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র (আইসিবিএম) বা পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা করেনি। কিন্তু ২০১৯ সালে পারমাণবিক নিরস্ত্রীকরণ আলোচনা স্থবির হয়ে পড়ার পর তারা নতুন নকশা করা এসআরবিএম উন্মোচন ও এগুলোর ধারাবাহিক পরীক্ষা শুরু করে। হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্রসহ নতুন এসব এসআরবিএমের অনেকগুলোই ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষা ফাঁকি দেওয়ার মতো করে নকশা করা হয়েছে। উত্তর কোরিয়া কৌশলগত পারমাণবিক অস্ত্র উৎপাদনেরও চেষ্টা করে যাচ্ছে, এতে সফল হলে তারা এসব এসআরবিএমে পারমাণবিক ওয়ারহেড স্থাপন করতে পারবে।












