কোভিড-১৯ দেশকে ‘মহা গোলযোগে’ ফেলেছে মন্তব্য করে উত্তর কোরিয়ার শীর্ষ নেতা কিম জং উন মহামারী কাটিয়ে উঠতে সর্বাত্মক লড়াইয়ের ডাক দিয়েছেন। দেশটিতে জ্বরে ৬ জনের মৃত্যুর কথা জানানোর পরদিন রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে আরও ২১ জনের মৃত্যুর খবর জানানো হয়েছে। মহামারী শুরুর পর দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে দেশে কোনো সংক্রমণ নেই দাবি করে আসা উত্তর কোরিয়া মাত্র কয়েকদিন আগেই তাদের প্রথম কোভিড প্রাদুর্ভাবের বিরল স্বীকারোক্তি দেয়। খবর বিডিনিউজের।
যদিও দেশটিতে ভাইরাস শনাক্ত ও আক্রান্তদের চিকিৎসায় ব্যাপক কার্যক্রম চলার কোনো চিহ্ন দেখা যায়নি। রোগী শনাক্তে পরীক্ষার সক্ষমতা সীমিত হওয়ায় উত্তর কোরিয়া এখন পর্যন্ত যত আক্রান্তের তথ্য দিয়েছে, তা সম্ভবত মোট আক্রান্তের খুব সামান্য অংশ। টিকাদান কর্মসূচির বাইরে থাকা বিশ্বের মাত্র দুটি দেশের একটি হওয়ায় দেশটির প্রাদুর্ভাব হাজার হাজার মানুষের মৃত্যু নিয়ে আসতে পারে বলে আশঙ্কা বিশেষজ্ঞদের। এই পরিস্থিতিতে দেশটির ক্ষমতাসীন ওয়ার্কার্স পার্টি এক জরুরি বৈঠকে বসে এপ্রিলের শেষ দিক থেকে অজ্ঞাত উৎসের জ্বরে মোট ২৭ মৃত্যু ও ২ লাখ ৮০ হাজার ৮১০ জনের চিকিৎসা লাভের বিষয়টি শুনেছে বলে জানিয়েছে রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা কেসিএনএ।
দুষ্ট এই মহামারীর বিস্তৃতি আমাদের দেশকে প্রতিষ্ঠার পর সবচেয়ে বড় গোলযোগে ফেলেছে। কিন্তু যদি আমরা মহামারী নীতি বাস্তবায়নে নজর সরিয়ে না ফেলি এবং দলের শক্তিশালী সাংগঠনিক ক্ষমতা ও জনগণের একক ঐক্যের ভিত্তিতে নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখে মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াই জোরদার করতে পারি, তাহলে আমরা এই সংকট কাটিয়ে ওঠার চেয়েও বেশি কিছু করতে পারবো, কিম বৈঠকে এমনটাই বলেছেন বলে জানিয়েছে কেসিএনএ।
নতুন যাদের মৃত্যুর খবর এসেছে তাদের মৃত্যুর কারণ কোভিড কিনা তা পরিষ্কার করেনি রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যম। এর আগে শুক্রবার কেসিএনএ করোনাভাইরাসের ওমিক্রন ধরনের কারণে দেশটির এক নাগরিকের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছিল। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে মানুষের মৃত্যুর কারণ অতিরিক্ত ওষুধ দেওয়াসহ নানান ধরনের গাফিলতি, যা চিকিৎসা পদ্ধতি বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে হয় বলে বৈঠকে উত্থাপিত মহামারী নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বলেছে কেসিএনএ।