বরগুনার আলোচিত রিফাত হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায়ের কপি হাতে পেয়ে উচ্চ আদালতে আপিল করতে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দিয়েছেন মিন্নির বাবা মোজাম্মেল হোসেন কিশোর। গতকাল শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালত থেকে পূর্ণাঙ্গ রায়ের সার্টিফায়েড কপি হাতে পেয়েছেন মিন্নির বাবা।
পূর্ণাঙ্গ রায়ে বলা হয় মিন্নিই ছিলো রিফাত হত্যার মূল হোতা।
মিন্নির আইনজীবী মাহবুবুল বারী আসলাম বলেন, রায়ের কপি শনিবার সন্ধ্যার দিকে হাতে পেয়েছি। রায়ের কপি নিয়ে মিন্নির বাবা রাতেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা হয়েছেন। রোববার (আজ) উচ্চ আদালতে আপিলের জন্য আবেদন করবেন। তবে মিন্নির বাবার ফোন বন্ধ থাকায় এ বিষয়ে কথা বলার সম্ভব হয়নি। খবর বাংলানিউজের।
গত ৩০ সেপ্টেম্বর বরগুনার জেলা ও দায়রা জজ আছাদুজ্জামান চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করেন। মৃত্যুদণ্ডের পাশাপাশি ছয় আসামির সবাইকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করেন আদালত। এ হত্যার ঘটনায় পুলিশ ২৪ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দিলেও তার মধ্যে প্রাপ্তবয়স্ক ১০ আসামির বিচার চলে এ আদালতে। ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, রাকিবুল হাসান রিফাত ফরাজি (২৪), আল কাইউম ওরফে রাব্বি আকন (২২), মোহাইমিনুল ইসলাম সিফাত (২০), রেজওয়ান আলী খান হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় (২৩), হাসান (২০) ও মৃত রিফাতের স্ত্রী আয়শা সিদ্দিকা মিন্নি (২০)। এছাড়াও মামলার অপর চার আসামি রাফিউল ইসলাম রাব্বি (২১), সাগর (২০), মুসা (২৩) ও কামরুল ইসলাম সাইমুনকে (২২) খালাস দেওয়া হয়।
রায় ঘোষণার পর মিন্নিসহ ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত ছয় আসামিকে বরগুনা জেলা কারাগারের কনডেম সেলে রাখা হয়েছে। এই কনডেম সেলে রিফাত হত্যার ছয় আসামি ছাড়া অন্য কোনো বন্দিই নেই বলে কারা সূত্রে জানা গেছে।