চিন্ময় দাসকে গ্রেপ্তার পরবর্তী চট্টগ্রাম আদালতে ইসকনের ভক্তদের তাণ্ডব, কোর্টহিল মসজিদে হামলা, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা এবং ২৮ নভেম্বর শেরপুর মুর্শিদপুর দরবারে তৌহিদি জনতা নামধারী সন্ত্রাসীদের হামলা, মালামাল লুট ও সুন্নী কর্মী হাফেজ উদ্দিনকে হত্যাকারীদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত। গত ২৯ নভেম্বর বন্দর সেন্টার মোড়ে অনুষ্ঠিত হয়। আহলে সুন্নাত ওয়াল জমাআত আনোয়ারা উপজেলার উদ্যোগে এ মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। মাওলানা নাজিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ ফরিদুল ইসলাম। মুহাম্মদ ইসমাঈল হোসেনের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন মুহাম্মদ আবদুস সালাম, মুহাম্মদ মিজানুর রহমান, মুহাম্মদ নুরুল করিম রিপন, শাকিল হাসান, তানভির হোসেন জিসান, রায়হান আহমদ প্রমুখ। প্রধান অতিথি বলেন, ছাত্র জনতার গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী এক শ্রেণির উগ্রবাদি গোষ্ঠি ধর্মীয় বিদ্বেষ ছড়িয়ে দেশে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির পায়ঁতারা করছে। কাউকে আঘাত করা, লুটপাট করা, অন্যায়ভাবে হত্যা করা কোন ভাবেই আমরা মেনে নিতে পারি না। চট্টগ্রামে ২৬ নভেম্বর ইসকন নামধারী সন্ত্রাসীরা অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফকে হত্যা করেছে এবং ২৮ নভেম্বর মুসলিম নামধারী তৌহিদি জনতা শেরপুরের মুর্শিদপুর দরবারে লুটতরাজ করে হাফেজ উদ্দিনকে হত্যা করেছে। যে ধর্ম মানবজীবনে ধ্বংস নিয়ে আসে তা ধর্ম নয়। যারা ধর্মের নামে হানাহানি করে তারা উগ্রবাদি সন্ত্রাসী। তিনি উভয় সন্ত্রাসী গোষ্ঠির কার্যকলাপ নিষিদ্ধ করা দাবি জানান। একইভাবে খুনীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য প্রশাসনের প্রতি অনুরোধ জানান। তিনি বলেন, নতুন দেশ গড়তে জাতি–ধর্ম–বর্ণ নির্বিশেষে ঐক্যের বিকল্প নেই। উগ্রবাদী অপশক্তির বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, অন্যথায় আমাদের সব অর্জন ধ্বংস হয়ে যাবে। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।