কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে কালো রংয়ের ১টি ওয়াকিটকি জব্দ করা হয়। আটককৃত যুবককে উখিয়া থানায় হস্তান্তর করা হয়। আজ শনিবার দুপুরে তাকে কক্সবাজার আদালতে সোপর্দ করা হয়।
আটককৃত হলো কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার হলদিয়া পালং ইউনিয়নের পূর্ব পাতাবাড়ী গ্রামের ছলিম উল্লাহর ছেলে মোহাম্মদ ইউসুফ আনোয়ার।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে নয়টার সময় উখিয়ার কুতুপালং রেজিস্ট্রার্ড ক্যাম্পের রোডে আনসার চেকপোস্টের সামনে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানে নেতৃত্ব দেন উখিয়া থানার উপ পরিদর্শক মোহাম্মদ কামাল হোসেন।
জানা যায়, উখিয়ার ৩ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ই-৬০ ব্লকের বাসিন্দা শামসুল ইকরাম পরিবারের অনুমতি ছাড়াই সোয়াইফ নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন। বিষয়টি নিয়ে শ্বশুরপক্ষ আনোয়ার হোসেনকে আর্মি অফিসার ভেবে সহায়তা চান।
তারা বলেন, আপনি তো আর্মির অফিসার, আমার মেয়েকে জোর করে বিয়ে করেছে শামসুল ইকরাম, তাকে উদ্ধার করে দিন। কিন্তু এ সুযোগে আনোয়ার আবারও প্রতারণার ফাঁদ পেতে বসেন।
অভিযোগ রয়েছে, আনোয়ার হোসেন দীর্ঘদিন ধরে সেনা কর্মকর্তা কিংবা আর্মির গোয়েন্দা সংস্থা ASU’র পরিচয় ব্যবহার করে রোহিঙ্গা পরিবারের সালিশ-বিচারের নামে অর্থ হাতিয়ে আসছিলেন।
এ বিষয়ে সেনাবাহিনীর এক মুখপাত্র স্পষ্টভাবে জানান, সেনাবাহিনী ক্যাম্প এলাকায় কেবল আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সহায়তা করে। কোনো ব্যক্তি সেনা কর্মকর্তা বা গোয়েন্দা পরিচয়ে সালিশ বা আর্থিক লেনদেন করলে তা প্রতারণা। এর সঙ্গে সেনাবাহিনীর কোনো সম্পর্ক নেই। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ করছি।
এ ব্যাপারে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জিয়া উদ্দিন বলেন, ধৃত আসামির বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় একটি মামলা রুজু করা হয়। যার মামলা নং ৫৯।
