রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিবদমান দুই গ্রুপের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে। এসময় এক রোহিঙ্গা বৃদ্ধ গুলিতে নিহত এবং একজন শিশু গুলিবিদ্ধ হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া আহত হয়েছেন আরও ৪–৫ জন। গতকাল শনিবার মধ্যরাত থেকে ভোর পর্যন্ত উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প–৫ ও বালুখালী ক্যাম্প–৮/ডব্লিউতে এ ঘটনা ঘটে।
নিহত রোহিঙ্গা উখিয়ার বালুখালী ক্যাম্প–৮/ ডব্লিউ’র বাসিন্দা মৃত হাসিমের ছেলে ছৈয়দ আলম (৬০)। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে আশঙ্ক্ষাজনক অবস্থায় চিকিৎসাধীন রয়েছে তাইফুর নামে ১২ বছরের এক রোহিঙ্গা শিশু। সে উখিয়ার কুতুপালং ৫ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ডি–ব্লকের বাসিন্দা নুরুল আমিনের ছেলে।
স্থানীয়রা জানায়, শনিবার দিবাগত রাত ১টা থেকে ভোররাত ৪টা পর্যন্ত টানা তিন ঘণ্টা একাধিক সশস্ত্র বিবদমান গ্রুপের মধ্যে চলে এ গোলাগুলি। সন্ত্রাসী গ্রুপগুলোর ক্রসফায়ারে পড়ে বয়োবৃদ্ধ একজন রোহিঙ্গা ঘটনাস্থলে নিহত এবং শিশুসহ আরও ৫–৬ জন আহত হয়েছেন। মধ্যরাতে ক্যাম্পগুলোর ভিন্ন ভিন্ন স্পট থেকে ছুটে আসা শত শত রাউন্ড গুলির শব্দে পুরো এলাকায় যুদ্ধাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ পবিত্র রমজানেও প্রায় প্রতিদিন সন্ধ্যার পর থেকে ভোররাত পর্যন্ত ক্যাম্পগুলোতে কখন কোথায় কি ঘটে তা নিয়ে আতংকে থাকতে হয় বলে জানান রোহিঙ্গারা।
উখিয়া থানার ওসি শেখ মোহাম্মদ আলী জানায়, শনিবার দিবাগত রাতে গোলাগুলির ঘটনায় একজন মারা যায়। ক্যাম্প প্রশাসনের সহযোগিতায় লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কঙবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে উখিয়ায় কর্মরত বেশ কয়েকজন গণমাধ্যম কর্মী অভিযোগ করেন, যে দুই ক্যাম্পে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে সেখানে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত রয়েছে ৮ ও ১৪ এপিবিএন পুলিশ। কিন্তু এ ধরনের উল্লেখযোগ্য অপরাধের ঘটনা ঘটলেও তাদের পক্ষ থেকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে যথাসময়ে কোনো প্রেস নোট বা বক্তব্য পাওয়া যায় না। এতে সংবাদকর্মীদের সঠিক সংবাদ পরিবেশনের ক্ষেত্রে ভোগান্তিতে পড়তে হয় বলে সাংবাদিকদের অভিমত।











