কক্সবাজারের উখিয়ায় বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে করোনা হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে উখিয়া-টেকনাফের ফায়ার সার্ভিসের ৫টি ইউনিট।
হাসপাতালের ক্ষয়ক্ষতি হলেও এখন পর্যন্ত হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।
আজ রবিবার (২ জানুয়ারি) রাতে ২০নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডের এই ঘটনা ঘটে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, আজ রবিবার রাত সোয়া ৭টার দিকে ১৪ এপিবিএন আওতাধীন ওয়ালা পালং পুলিশ ক্যাম্পের রোহিঙ্গা ক্যাম্প-২০এক্স এর হেলিপ্যাডের পাশে অবস্থিত করোনা হাসপাতালে (সারি আইসোলেশন এন্ড ট্রিটমেন্ট সেন্টার) অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হয়।
ঐ স্থানে টহলরত পুলিশ আগুন দেখে ফায়ারসার্ভিসে খবর দেয়। ক্যাম্প পুলিশ, ফায়ারসার্ভিস ও স্থানীয় রোহিঙ্গা জনসাধারণ আগুন নেভানোর কাজ করে। প্রায় ২০/২৫ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে।
তখন উক্ত সেন্টারে ৪ জন করোনা ও ২ জন ডেঙ্গু রোগী ও চারজন অ্যাটেনডেন্ট সহ ১০/১২ জন অবস্থান করছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সঙ্গে সঙ্গে তারা বের হয়ে যান। খবর পেয়ে ১৪ এপিবিএন অধিনায়ক ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
কক্সবাজার ১৪ আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) অধিনায়ক পুলিশ সুপার নাইমুল হক বলেন, “২০নং ক্যাম্পের ডি ব্লক থেকে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনাটি ঘটেছে। অগ্নিকাণ্ডে আইসোলেশন সেন্টারের ৬০/৭০টি বেড, একটি ফ্রিজ, তিনটি অক্সিজেন সিলিন্ডারের ক্ষয়ক্ষতি সহ মোট ৩/৪ লক্ষ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।”
ফায়ার সার্ভিস সূত্রের বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, প্রাথমিকভাবে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিটের কারণে অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আসল কারণ জানার জন্য অনুসন্ধান করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গত বছরের মার্চ মাসে কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অগ্নিকাণ্ডে ১৫ জনের প্রাণহানি ও ১০ হাজার ঘর পুড়ে গিয়েছিল।