উখিয়ায় বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা

উখিয়া প্রতিনিধি | বুধবার , ১০ নভেম্বর, ২০২১ at ৪:৫৪ পূর্বাহ্ণ

প্রশাসনিক ও গোয়েন্দা নজরদারি, সাথে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর নিরাপত্তা বলয়ের চাদরে ঢেকে ফেলা হচ্ছে উখিয়ার ৫ ইউপি নির্বাচনী এলকা। রোহিঙ্গা আশ্রয়স্থল হওয়ায় নির্বাচন কমিশন উখিয়ার ইউপি নির্বাচনে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে। রোহিঙ্গাদের ক্যাম্পের বাহিরে যাতায়াত কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। আগামীকাল ১১ নভেম্বর দ্বিতীয় ধাপে উখিয়া উপজেলার পাঁচটি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর বলে জানিয়েছে। ভোটকেন্দ্র দখল, ভোটারদের ভোট দিতে বাধা, ভোটকেন্দ্রে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং রোহিঙ্গা অধ্যুষিত এলাকা হওয়ায় প্রশাসন এবার কঠোর অবস্থানে রয়েছেন।
উখিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, নির্বাচনের যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে। ভোটাররা নিরাপদে ভোট দিতে পারবেন। সকলকে নির্ভয়ে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজ নিজ ভোটাধিকার প্রয়োগের আহবান জানান তিনি।
উখিয়ার পালংখালী ও রাজাপালং ইউনিয়ন দুটির অবস্থান ২৫ টি রোহিঙ্গা ক্যাম্প সংলগ্ন। এছাড়া বিভিন্ন চেয়ারম্যান প্রার্থী রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী দিয়ে ভোট কেন্দ্র দখলের আশঙ্কা জানিয়ে কমিশনে অভিযোগ করেছেন। এ প্রেক্ষিতে ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ব্যবহার করে শান্তি-শৃঙ্খলা বিনষ্ট সম্ভাবনায় ক্যাম্প থেকে রোহিঙ্গাদের বের হওয়া কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। একই তারিখে ভিন্ন পত্রে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক উখিয়ায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানে ১৫ জন অতিরিক্ত নির্বাহী ম্যাজিস্টেট নিয়োগ প্রদান করেছেন। অন্য এক পত্রে সুষ্ঠু নির্বাচনে নিয়মিত আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত পুলিশ, এপিবিএন ও আনসার ব্যাটালিয়ান সমম্বয়ে ১০টি মোবাইল টিম ও ৫টি স্টাইকিং টিম, ৬ প্লাটুন বিজিবি ও র‌্যাবের ৪টি টিম মোতায়েন করা হয়েছে বলে নির্বাচন অফিসার জানান।
বৃহস্পতিবার উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে অনুষ্ঠিতব্য নির্বাচনে ভোটার সাধারণের মাঝে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা ও উৎসবের আমেজ পরিলক্ষিত হচ্ছে। উখিয়ার ৫ ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ ও স্বতন্ত্র, আওয়ামী লীগের বিদ্রোহীসহ ৩৪ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। সংরক্ষিত ১৫টি মহিলা সদস্যা পদে ৪৬ জন ও সাধারণ সদস্য পদে ২৩৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন বলে জানা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবান্দরবানে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোট গ্রহণের আশ্বাস
পরবর্তী নিবন্ধফটিকছড়ি দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মারামারি, আহত ১০