উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের মধ্যে গুলি বিনিময়ের ঘটনা ঘটেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে ৭ নম্বর ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায়। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার সকালে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র গোলাবারুদসহ চার রোহিঙ্গাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র, গোলাবারুদ ও ওয়াকিটকি জব্দ করেছে আর্মড পুলিশ।
শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টায় উখিয়াসহ ১৪ এপিবিএন সদর দপ্তরে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে অভিযানের বিস্তারিত তুলে ধরেন কক্সবাজার আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের ডিআইজি মো. জামিল হাসান। তিনি জানান, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে এপিবিএন এর কাছে খবর আসে ক্যাম্প–৭ এ সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনের নেতৃত্বে ১০–১৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে অপরাধ সংঘটিত করার পরিকল্পনা করছে। এ প্রেক্ষিতে ক্যাম্পে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে টহল জোরদার করা হয়। পরে ঘটনাস্থলে এপিবিএন সদস্যরা উপস্থিত হলে তাদের লক্ষ্য করে সন্ত্রাসীরা গুলি ছুঁড়ে। এসময় এপিবিএন সদস্যরাও পাল্টা গুলিবর্ষণ করে।
গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থল থেকে একজনকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। পরে সকাল ৭টায় সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিন দলবলসহ ক্যাম্প–৫ এর একটি ঘরে অবস্থানের খবরে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এসময় ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হলেও সন্ত্রাসী ছমি উদ্দিনসহ অন্যান্যরা পালিয়ে যায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল ক্যাম্প–২ এর বি–ডাব্লিউ ব্লকের মৃত মোহাম্মদ সৈয়দের ছেলে মো. জোবায়ের (২০), ক্যাম্প–৬ এর ডি–৮ ব্লকের মৃত কামাল হোসেনের ছেলে নুর মোহাম্মদ (২৫), ক্যাম্প–৫ এর ডি–৮ ব্লকের জোবায়ের আহমদের মেয়ে মোসা বিবি (১৬) ও মৃত সালেহ আহমদের স্ত্রী জামিলা বেগম (৪৮)। এসময় তাদের কাছ থেকে ৪টি দেশীয় তৈরি ওয়ান শুটারগান, ৩০টি চায়না রাইফেলের গুলি, ২৭টি পিস্তলের গুলি, পাঁচটি শটগানের কার্তুজ, তিনটি খালি ম্যাগজিন, চারটি ওয়াকিটকি, পাঁচটি মোবাইল ও একটি চাকু জব্দ করা হয়েছে।