কক্সবাজারের উখিয়ার মরিচ্যায় ৪ জনকে কিরিচ দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তারমধ্যে একজনের ৪ আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। গতকাল শনিবার সকাল সাড়ে নয়টার দিকে পশ্চিম হলদিয়া পালং এলাকার জুলার পাড়ায় মসজিদের পাশে এই ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন পশ্চিম হলদিয়া পালংয়ের জুলাপাড়ার হাজী জাফর আলমের ছেলে শাহজাহান, হাজী জিন্নাত আলীর ছেলে শফি আলম ও জাফর আলমের ছেলে মনজুর আলম। হলদিয়া পালংয়ের ঘোনারপাড়া পাগলীর বিল এলাকার আমির হোসের ছেলে জাহাঙ্গীর আলম হামলার মূলহোতা বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, গতকাল সকালে মরিচ্যা যাচ্ছিলেন শাহজাহান। পথিমধ্যে পূর্ব থেকে উৎপেতে থাকা জাহাঙ্গীর আলম হঠাৎ কিরিচ নিয়ে শাহজাহানকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকে। এ সময় প্রাণে বাঁচতে শাহজাহান হাত দিয়ে প্রতিরোধ করলে ধারালো কিরিচের কোপে তার হাতের ৪টি আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে যায়। এ সময় তাকে বাঁচাতে মনজুর ও শফি আলম এগিয়ে আসলে তাঁদেরও উপর্যুপরি কুপিয়ে মারাত্মক জখম করা হয়। এ সময় স্থানীয়রা এগিয়ে আসলে হামলাকারী জাহাঙ্গীর পালিয়ে যায়। পরে আহতদের উদ্ধার করা কক্সবাজার সদর হাসপাতালে আনা হয়। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক গুরুতর আহত শাহজাহানকে ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন।
প্রত্যক্ষদর্শী শেখ সোহেল জানান, কোন কিছু বুঝার আগেই জাহাঙ্গীর হঠাৎ করে কিরিচ দিয়ে তাদের বেপরোয়াভাবে কোপাতে থাকে। বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। আহত শাহজাহানের স্বজনেরা জানিয়েছেন, জাহাঙ্গীর একজন চিহ্নিত ডাকাত ও মাদক কারবারি। তার নামে বহু মামলা আছে। হত্যার উদ্দেশ্যে সে শাহজাহান, মনজুর, শফি আলম ও একজন শিশুকে বিনা কারণে কুপিয়েছে। হামলাকারী জাহাঙ্গীরকে শিগগিরই আইনের আওতায় আনা হোক।
হলদিয়া পালং ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ইমরুল কায়েস চৌধুরী বলেন, বিষয়টি শুনে আমি থানা পুলিশকে অবহিত করেছি। অপরাধী যেই হোক তাঁকে শাস্তির আওতায় আনা হোক।
এ বিষয়ে উখিয়া থানার ওসি মো. শামিম হোসেন বলেন, ঘটনা সম্পর্কে আমি অবগত। অভিযোগ পেলে হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করা হবে।