ব্যাট হাতে ক্যারিয়ারের সেরা সময় কাটাচ্ছেন বাংলাদেশ দলের উইকেটরক্ষক ব্যাটার লিটন দাস। সবশেষ শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের তিন ইনিংসে দুই হাফ সেঞ্চুরির সঙ্গে করেছেন একটি সেঞ্চুরি। খেলেছেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪১ রানের ইনিংস। চলতি বছর তিন ফরম্যাট মিলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে লিটনের চেয়ে বেশি রান নেই আর কারও। তবে উইকেটের পেছনে গ্লাভস হাতে লিটন কেমন তা নিয়ে তর্কের অবকাশ রয়েই গেছে। ব্যাটার লিটন যেমন সেরা তেমনি উইকেটরক্ষক লিটনও সেরা তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন অনেকেই। তার অবশ্য কিছু কারনও রয়েছে। সবশেষ সিরিজ তো বটেই, সামপ্রতিক সময়ে লেগ বিফোর কিংবা কট বিহাইন্ডের ক্ষেত্রে বেশ কয়েকবার লিটনের কাছ থেকে সেরা প্রতিক্রিয়া পায়নি বাংলাদেশ। শ্রীলংকার বিপক্ষে দিমুথ করুনারাত্নের লেগ বিফোরের রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে লিটনের পরামর্শেই রিভিউ নেয়নি বাংলাদেশ।
কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে রিভিউ নিলে সেটিতে আউট ছিলেন করুনারত্নে। এর বাইরে দক্ষিণ আফ্রিকা সিরিজে খালেদ আহমেদ কিংবা নিউজিল্যান্ড সিরিজে তাসকিন আহমেদের ওভারে কট বিহাইন্ডের ক্ষেত্রেও ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়ার শব্দ ঠিকঠাক ধরতে পারেননি লিটন। তবে এসব নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন বাংলাদেশ দলের ফিল্ডিং কোচ শেন ম্যাকডেরমট। তার মতে পেস বোলিংয়ের সময় উইকেটরক্ষক যেহেতু স্ট্যাম্প থেকে অনেক দূরে দাঁড়ান, তাই অনেক সময় ব্যাটের কানায় লেগে যাওয়া মৃদু শব্দগুলো উইকেটরক্ষকের কান পর্যন্ত পৌঁছায় না। তাই লিটনকে কাঠগড়ায় তুলতে রাজি নন ম্যাকডেরমট। তিনি বলেন শুধু লিটন না, আম্পায়াররাও অনেক সময় এসব মৃদু শব্দ শুনতে পায় না। এখানে খুবই সূক্ষ্ম বিষয় থাকে এবং এটি আসলে খুবই কঠিন। গ্যালারীতে অনেক দর্শক থাকে। ম্যাচের মধ্যে অনেক কিছু চলতে থাকে। এছাড়া তার তো স্ট্যাম্প থেকে অনেক দূরে দাঁড়াতে হয়।
গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপে তিনি আরও বলেন, কখনও কখনও লিটন এসব মৃদু শব্দের ক্ষেত্রে আম্পায়ার–বোলারের চেয়ে দূরে থাকে। আমার মনে হয় না লিটন খুব বেশি মিস করেছে। মাঝেমধ্যে স্ট্যাম্প মাইকও ঠিকঠাক ধরতে পারে না এগুলো। আমার মতে লিটন উইকেটের পেছনে অসাধারণ করছে। উল্লেখ্য, বাংলাদেশসহ বিশ্বের অনেক দেশেই কট বিহাইন্ডে ব্যাটে লেগেছে কি না, লেগ বিফোরে কত উচ্চতায় বল পায়ে লেগেছে এসব দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয় পয়েন্ট ও স্কয়ার লেগে দাঁড়ানো ফিল্ডারদের। রিভিউ নেওয়ার ক্ষেত্রে তাদেরও থাকে বড় ভূমিকা।