ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে সড়কের দুপাশে সৃষ্ট মাটির ঢিবিতে দুর্ঘটনা ঘটছে। প্রায়শঃ সংস্কার করা হলেও ওভারলোডিং বন্ধ না হওয়ায় এই সমস্যার সমাধান হচ্ছে না।
সরেজমিনে দেখা গেছে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক ফোরলেনে রূপান্তরিত হওয়ার পরও সড়কে দিন দিন গাড়ির চাপ বাড়ছে পাল্লা দিয়ে। বিশেষ করে বিকেলে ঢাকামুখী এবং সকালে চট্টগ্রামমুখী ভারি গাড়ির চাপ চোখে পড়ার মত। ইতোমধ্যে সীতাকুণ্ড ও মীরসরাই উপজেলার মধ্যবর্তী বড়দারোগারহাট এলাকায় ওভারলোডিং কন্ট্রোল কেন্দ্র স্থাপন করলেও সেখানে উল্টো টাকা আদায়ের জন্য সৃষ্ট যানজটে পড়তে হয় দূরপাল্লার যাত্রীসহ সবাইকে। এজন্য অনেকেই অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করছেন।
এদিকে মহাসড়কের ওয়াহেদপুর, নিজামপুর, নয়দুয়ারিয়া, বড়তাকিয়া, মিঠাছরা, সোনাপাহাড় এলাকায় সড়কের দুপাশে, কোথাও মধ্যখানে কিছুদূর পর পর উঁচু নিচু ঢিবির মতো বা কোথাও গর্তের সৃষ্টি হয়ে ঝুঁকি তৈরি করেছে। কিছুদিন পর পর এসব ঢিবি মেশিন দ্বারা কেটে সমান করা হয়। কিন্তু ১৫ দিন না যেতেই একই রূপ ধারণ করে। এসব ঢিবির দরুন অনেক সময় দ্রুতগামী হালকা বা ভারি যানবাহনকে ঝাঁকুনি খেতে হয়। এই ঝাঁকুনিতে অনেক সময় গাড়ি উল্টে পাশের খাদে পড়ে যায়। এবিষয়ে হাইওয়ে জোরারগঞ্জ ফাঁড়ির ইনচার্জ ফিরোজ আহমেদ বলেন, এসব ঢিবির বিষয়ে সড়ক বিভাগই বলতে পারবে।
এবিষয়ে ফোরলেনের ব্যবস্থাপক সড়ক ও জনপথের চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী জুলফিকার আহমেদ বলেন, আমরা নিয়মিত এসব ঢিবির বিষয়ে খবর রাখছি। ঝুঁকিপূর্ণ হলে আমরা কার্টিং স্কেবেটর দিয়ে ঠিক করে দিচ্ছি। তবে অতিরিক্ত ভারি মালামালের বিষয়ে সড়ক পরিবহন কর্র্তৃপক্ষের সঠিক ব্যবস্থাপনা প্রয়োজন বলে মনে করেন তিনি।