পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলায় আটটি কুকুরছানাকে পুকুরে ফেলে হত্যার ঘটনায় জড়িত এক সরকারি কর্মকর্তাকে উপজেলা পরিষদের বাসভবন ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন। ঘটনার তিন দিন পর গতকাল মঙ্গলবার শাস্তি হিসেবে তাকে সরকারি বাসভবন ছাড়তে বলা হয় বলে জানান ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান।
শাস্তি পাওয়া হাসনুর রহমান নয়ন ক্ষুদ্র কৃষক উন্নয়ন ফাউন্ডেশনের ঈশ্বরদী উপজেলা কর্মকর্তা। এর আগে শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলা পরিষদ অডিটরিয়াম চত্বরের পুকুর থেকে বস্তাবন্দি অবস্থায় মৃত আটটি কুকুরছানা উদ্ধার করা হয় বলে জানান ঈশ্বরদী থানার ওসি আ স ম আব্দুর নূর। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসনুর রহমান বলেন, সন্তানদের নিরাপত্তার কথা ভেবে আমার স্ত্রী ছানাগুলো সরিয়ে দিতে বলেছিল। কিন্তু সেগুলো যাবে, তা ভাবিনি। আমি এ ঘটনায় লজ্জিত ও দুঃখিত। খবর বিডিনিউজের।
স্থানীয়রা জানায়, প্রায় এক সপ্তাহ আগে ওই কর্মকর্তার বাসার আঙিনায় একটি মা কুকুর আটটি ছানার জন্ম দেয়। শনিবার সকালে কুকুরটিকে পরিষদ চত্বরে ছোটাছুটি ও চিৎকার করতে দেখা যায়। পরে তার ডাক অনুসরণ করে পুকুরপাড়ে গিয়ে বস্তাটি খুলে ভেতরে মৃত অবস্থায় কুকুরছানাগুলো পাওয়া যায়।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ছানাগুলোকে পুকুরে ফেলে হত্যা করা হয়েছে। স্থানীয়রা মৃত ছানাগুলো উদ্ধার করে মাটিচাপা দেন। মা কুকুরটি তখন পাশে বসে আর্তনাদ করছিল। ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান বলেন, এটি চরম অমানবিক ও নিষ্ঠুর কাজ। শাস্তি হিসেবে ওই কর্মকর্তাকে একদিনের মধ্যে সরকারি বাসভবন ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরকে মা কুকুরটির চিকিৎসার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।










