ঈদুল ফিতর শুধু আনন্দের উৎসবই নয়, বরং এটি ভ্রাতৃত্ব, বন্ধুত্ব এবং সামাজিক সমপ্রীতিরও বার্তা বহন করে। এই দিনে ধনী–দরিদ্র সকলেই একসাথে ঈদের আনন্দ উপভোগ করেন। হিংসা, বিদ্বেষ, হানাহানি ভুলে মানুষে মানুষে আনন্দের বন্যা বয়ে যায়। ঈদের আনন্দ সবার সঙ্গে ভাগ করে নিতে পথের বিড়ম্বনা অগ্রাহ্য করে সবাই ছুটে যান স্বজনের কাছে। দিনটি সাম্য, সৌহার্দ্য, ভালোবাসা ও মিলনের মহিমা নিয়ে উপস্থিত হয়। রমজানের বড় শিক্ষা সংযম। হিংসা ও বিভেদের দুনিয়ায় সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন সংযম ও পরিমিতিবোধ। বাস্তবতা হলো, সারা বিশ্ব আজ খুব অস্থির সময় অতিক্রম করছে। রাশিয়া–ইউক্রেনের যুদ্ধ বিশ্বকে অস্থিতিশীল করে তুলেছে। মানবতা আজ চরমভাবে পর্যুদস্ত। বিশ্বের বিভিন্ন এলাকায় মানুষ অনেক ক্ষেত্রে বিপর্যস্ত ও নির্যাতিত। এ অবস্থা কিছুতেই প্রত্যাশিত নয়। রমজানের শিক্ষা আমাদের মানবিক হওয়ার প্রেরণা জোগায়। কারণ রোজা আত্মিক বিশুদ্ধতা অর্জনের পথ দেখিয়ে দেয়। একই সঙ্গে ঈদুল ফিতরের উৎসব শুধু ভোজনের মাধ্যমে ইন্দ্রিয় তৃপ্তির উৎসব নয়, আধ্যাত্মিক সৌন্দর্য অর্জনের মাধ্যমে জীবনকে নতুনভাবে সাজানোর অঙ্গীকারও বটে। ঈদের আনন্দবার্তার মর্মমূলে রয়েছে শান্তি ও ভালোবাসা। বছরজুড়ে নানা প্রতিকূলতা, দুঃখ–বেদনা সব ভুলে ঈদের দিন মানুষ সবার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে মিলিত হয়। তাই ঈদ মানে খুশি ঈদ মানে আনন্দ।