ঈদ বাজারে ক্রেতার ঢল উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি

| বুধবার , ১২ মে, ২০২১ at ৭:০৪ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ড
প্রখর রোদ আর করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে ক্রেতাদের ঢল নেমেছে সীতাকুণ্ড উপজেলার বিভিন্ন মার্কেটে। এসব মার্কেটে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না অধিকাংশ ক্রেতা এবং বিক্রেতারা। অনেকেই ব্যবহার করছেন না মাস্ক। ঈদের কেনাকাটায় পরিবার পরিজন নিয়ে শপিং করতে গিয়ে অনেকেই মানছেন না স্বাস্থ্যবিধি। মার্কেটগুলোতে যতক্ষণ ভ্রাম্যমাণ আদালতের টিম তদারকি করে ততক্ষণ সাধারণ মানুষ মাস্ক ব্যবহার করলেও বেশিরভাগ সময় মাস্কবিহীন চলছে অনেকেই। কিছু কিছু দোকানে হ্যান্ড স্যানিটাইজার থাকলেও তা ব্যবহার করতে দেখা যায় না ক্রেতা-বিক্রেতাকে।
সীতাকুণ্ড পৌরসদরে ঈদের বাজার করতে আসা মো. জয়নাল আবেদিন বলেন, শপিং করতে আসা মানে একটা বিপদ। পরিবারের ছোট বাচ্চাদের জন্য কাপড় নিতে আসলাম, কিন্তু বাজারের যে অবস্থা তাতে মাথা ঠিক থাকে না অনেকেই মাস্ক ব্যবহার করছেন না। এছাড়া যে ভিড় তাতে গায়ে গায়ে ধাক্কা দিয়ে চলাফেরা করতে হচ্ছে। চৌধুরী মার্কেটে মার্কেটগুলোতে দেখা যায়, পরিবারের সদস্যরা এক সঙ্গে দল বেঁধে কেনাকাটা করছেন। এতে এক পরিবারের অনেকেই করোনায় আক্রান্ত হওয়ার আশংকা থাকে। তবে সাধারণ জনগণকে সতর্ক করতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন উদ্যোগে নেয়া হয়নি। সীতাকুণ্ড পৌর ব্যবসায়ী মালিক সমিতির সভাপতি রেজাউল করিম বাহার বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মানার শর্তে বিপনিবিতান খুলেছেন ব্যবসায়ীরা। তবে ক্রেতারা সচেতন না হওয়ায় এটি বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। সীতাকুণ্ড মডেল থানার (ওসি) আবুল কালাম আজাদ জানান, ক্রেতা-বিক্রেতা সবার কাছে মাস্ক আছে। কিন্তু বেশির ভাগ মানুষ মাস্ক পড়েন না। পুলিশের গাড়ি থামাতে দেখলেই পকেট থেকে মাস্ক বের করে পড়তে শুরু করেন।
বাঁশখালী
বাঁশখালীতে ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে কেনাকাটার ধুম পরেছে। ঈদের আমেজে যেন সামাজিক দূরত্ব মানছেনা কেউ! কেনাকাটা করতে বাজারগুলোতে শত শত মানুষের ভিড়ে জনসমাগমের সৃষ্টি হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব ও মাস্ক পড়া নিশ্চিতের জন্য বার বার নির্দেশ ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ মাজহারুল ইসলাম চৌধুরী বাজারে স্বাস্থ্যবিধি না মানায় কিছু দোকান মালিককে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হলেও শেষ মুহূর্তের ঈদ বাজারে চলছে বিরামহীন বেচাকেনা। এ সময় অনেককে মাস্কবিহীন ও স্বাস্থ্যবিধি বা দূরত্ব মেনে ক্রেতাদের চলাচল ও কেনাকাটা করতে দেখা যায়নি। অন্য বছর করোনা না থাকাকালীন সময়ে সাধারণ জনগণ সহজে চট্টগ্রাম শহরসহ বিভিন্ন স্থানে গিয়ে নানা ভাবে ঈদ বাজার করলেও এ বছর সে সুযোগ না থাকায় করোনার ভয় উপেক্ষা করে স্থানীয় বাজারও দোকান পাটগুলোতে উপচে পড়া ভিড় করছে। সাধারণ জনগণের মাঝে করোনা সংক্রান্ত কোন ধরনের ভয় বা ভীতি পরিলক্ষিত হচ্ছে না। স্বাভাবিক সময়ের মত মানুষ চলাচল করছে বাজারগুলোতে। এদিকে লকডাউন খুলে দেওয়ায় সড়কে যানবাহনের মাত্রাতিরিক্ত চাপ লক্ষ্য করা গেছে। পুকুরিয়া চৌমুহনী থেকে শুরু করে, সাধনপুর, কালীপুর, বাহারছড়া, খানখানাবাদ, বৈলছড়ি, কাথরিয়া,সরল,পৌরসদর জলদী, শীলকুপ, চাম্বল, গন্ডামারা, শেখেরখীল, ছনুয়া ও পুইছড়ি এলাকার অভ্যন্তরীণ ও প্রধান সড়ক এলাকার দোকানগুলোতে শেষ মুহূর্তের বেচা-বিক্রির চাপ বেড়েছে।
আইন-শৃংখলার ব্যাপারে বাঁশখালী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোহাম্মদ সফিউল কবীর বলেন, ঈদকে সামনে রেখে যাতে কোথাও অপ্রীতিকর কোন ঘটনা না ঘটে তার জন্য পুলিশের বিশেষ মোবাইল টিম বাজারে কাজ করছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাইদুজ্জামান চৌধুরী বলেন, সাধারণ জনগণকে স্বাস্থ্য সচেতন হওয়ার জন্য নানা ভাবে প্রচারণা ও মোবাইল কোর্ট পরচিালনা করা হচ্ছে। জনসাধারণ স্বাস্থ্যবিধি না মানলে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে কঠিন ব্যবস্থা নিবে বলে তিনি জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রান্তিকালে পবিত্র ঈদ উৎসবের বিবর্ণ আয়োজন
পরবর্তী নিবন্ধবীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রউফের ইন্তেকাল