ঈদুল ফিতর কেবল মুসলিম ধর্মাবলম্বীদের জন্য নয়, বরং এটি সামগ্রিকভাবে মানবতার জন্য এক গুরুত্বপূর্ণ উৎসব। এক মাস সংযম, আত্মশুদ্ধি ও ধৈর্যের অনুশীলনের পর আসে ঈদ, যা সবার মধ্যে সৌহার্দ্য, ভ্রাতৃত্ববোধ ও সহমর্মিতার বার্তা ছড়িয়ে দেয়। এটি আত্মপরিশুদ্ধির পাশাপাশি, সমাজে সহানুভূতি ও ভালোবাসা বিনিময়ের এক অনন্য সুযোগ।বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের জন্য ঈদ শুধু একটি ধর্মীয় উৎসব নয়, এটি একটি সামাজিক–সাংস্কৃতিক বন্ধনের প্রতীক। শহর থেকে গ্রামে, ধনী থেকে দরিদ্র–সবাই নতুন আশার আলো নিয়ে ঈদ উদযাপন করে। এই দিনে পরিবার, আত্মীয়স্বজন ও প্রতিবেশীদের সঙ্গে মিলিত হওয়া, একসঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নেওয়া আমাদের সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। তবে সমাজের এমন অনেক মানুষ আছেন, যারা দারিদ্র্যের কারণে ঈদের আনন্দ থেকে বঞ্চিত হন। প্রকৃত উৎসব তখনই সম্ভব, যখন সমাজের প্রতিটি মানুষ ঈদের আনন্দে সামিল হতে পারেন। তাই আমাদের দায়িত্ব হলো নিজের সামর্থ্য অনুযায়ী দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো, যাতে ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। এবারের ঈদ এমন এক সময়ে এসেছে, যখন বিশ্বজুড়ে সহিংসতা, যুদ্ধ ও অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশ্বব্যাপী শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য শুধু ধর্মীয় বিশ্বাস নয়, মানবিক মূল্যবোধকে প্রাধান্য দেওয়া জরুরি।