প্রচণ্ড গরম। আর কয়েকদিন পরই ঈদ। গরমে খুশির এ দিনগুলো উপভোগ করা থেকে তো বঞ্চিত হওয়া যাবে না। ঈদে পরিবারের সাথে অবশ্যই কাটাতে হবে আনন্দে। এই গরমে ঈদের ছুটি কাটাতে কনকর্ড ফয়’স লেক কমপ্লেঙ হতে পারে উত্তম স্থান।
সব বয়সী মানুষের আনন্দ বিনোদনের জন্য রয়েছে অ্যামিউজমেন্ট পার্ক, ওয়াটার পার্ক সী–ওয়ার্ল্ড, ফয়’স লেক রিসোর্ট ও বাংলো। ফয়’স লেক কমপ্লেঙে ভ্রমণে নগরবাসী পায় বাড়তি আনন্দ, কারণ এখানে রয়েছে বিনোদনের সকল উপকরণ আর পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সকলকে নিয়ে ঈদের আনন্দ ভাগ করে নিতে তাই মানুষ ভিড় করে ফয়’স লেকে। ঈদের দিন হতে পরবর্তী বেশ কয়েক দিন নগরীর অন্যান্য বিনোদন কেন্দ্রগুলোর মতো দর্শনার্থীদের ভিড় থাকে এখানে।
অ্যামিউজমেন্ট পার্ক :
প্রায় পাঁচ কিলোমিটার জুড়ে অবস্থিত বিনোদন কেন্দ্র ফয়’স লেকের প্রবেশের পথ শেষে দেখা যাবে বিশাল এক তোরণ। আর এই তোরণ পার করে ভেতরে গিয়ে সিঁড়ি দিয়ে উপরে উঠলেই দেখা যাবে সেই নয়নাভিরাম ফয়’স লেকের। আর্কষণীয় এই বিনোদন কেন্দ্রটি দুই ভাগে বিভক্ত– অ্যামিউজমেন্ট পার্ক ও সী ওয়ার্ল্ড। অ্যামিউজমেন্ট পার্ক সাজানো হয়েছে অনেকগুলো রাইড নিয়ে যেগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য রাইডগুলো হলো সার্কাস সুইং, বাম্পার কার, ফ্যামিলি রোলার কোস্টার, ফেরিস হুইল, পাইরেট শিপ, কফিকাপ, রেড ড্রাইস্লাইড, ইয়েলো ড্রাই–স্লাইড, বাগ বাউন্স ইত্যাদি। লেক ভ্রমণের জন্য আছে বোট, স্পিড বোট, ইঞ্জিন বোট, ওয়াটার–বি। নানা রকম দেশি–বিদেশি খাবারের জন্য আছে অনেকগুলো রেস্টুরেন্ট। অ্যাডভেঞ্চারল্যান্ড রেস্টুরেন্টের ঠিক পাশেই দেখা মিলবে হরেক রকম মাছের। আছে লেকের উপর ভেসে থাকা ফ্লোটিং রেস্টুরেন্ট। পাহাড়ের ঠিক উপরেই আছে ফটো কর্নার যেখানে দেখা মিলবে নানা ভঙ্গিতে হরেক প্রাণীর ভাস্কর্য। লেকের গা–ঘেঁষেই সামুদ্রিক প্রাণীদের ভাস্কর্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে পিকনিক স্পট অ্যাকোয়াটিক জোন। বোটে করে লেকে বেড়ালে কিংবা ওয়াটার পার্ক সী–ওয়ার্ল্ডে গেলে চারিদিকে চোখে পড়বে শুধু সবজু আর সবুজ। এখানকার বিভিন্ন পাহাড় রয়েছে নানা প্রজাতির গাছ।
সী ওয়ার্ল্ড :
ফয়’স লেকের বোট স্টেশন থেকে ইঞ্জিন বোটে দশ মিনিটের পথ পেরোলেই দেখা মিলবে দেশের সর্ববৃহৎ ওয়াটার পার্ক সী–ওয়ার্ল্ড। ফয়’স লেকের এক প্রান্তে গড়ে তোলা হয়েছে জলের রাজ্যে এক রোমাঞ্চকর এই পার্ক। দিনভর সকলকে নিয়ে জলকেলি উৎসবে মেতে ওঠার জন্য রোমাঞ্চকর সব রাইড রয়েছে এখানে।
এখানকার সবচেয়ে আর্কষণীয় স্থানটি কৃত্রিম সমুদ্র সৈকত যা ওয়েভ–পুল নামে পরিচিত। সাগরের ঢেউয়ের মতোই ঢেউ খেলা করে এখানে। বেশ উঁচু জায়গা থেকে আঁকাবাঁকা পথ পেরিয়ে পুলে ধপাস করে পড়ার মজা পাওয়া যাবে এখানকার স্লাইড ওয়ার্ল্ডে। এছাড়াও আছে মাল্টি স্লাইড, ডোম স্লাইড, প্ল্লে–জোনের মতো মজার মজার সব রাইড। ঈদের দিন থেকে সাত দিন পর্যন্ত চলবে ডি–জে শো। ডি–জে মিউজিক আর পুলের ঢেউয়ে নেচে গেয়ে ওঠার মজার তুলনাই হয় না ওয়াটার পার্ক সী ওয়ার্ল্ডে।
ফয়’স লেক রিসোর্ট :
ফয়’স লেকে বেড়াতে এসে যারা ভাবছেন এমন নৈসর্গিক পরিবেশে দুয়েকটা রাত কাটিয়ে গেলে মন্দ হয় না তাদের জন্য প্রকৃতির কোলে তৈরি করা হয়েছে রিসোর্ট ও বাংলো। রিসোর্টে যেতে ও আসতে হবে লেকের মধ্য দিয়ে বোটে চড়ে। ওয়াটার পার্ক সী–ওয়ার্ল্ড লাগোয়া রিসোর্টে রয়েছে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পাহাড়মুখী ও হ্রদমুখী কক্ষ যেখান থেকে উপভোগ করা যাবে সবুজ প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য। বাংলোর ঝুলন্ত বারান্দা থেকে প্রকৃতির স্পর্শ পাওয়া যায় সহজেই। রিসোর্ট ও বাংলোয় আগত পর্যটকদের খাবার–দাবারের জন্য রয়েছে মানসম্পন্ন রেস্টুরেন্ট যা চব্বিশ ঘণ্টা খোলা থাকে খাবার পরিবেশনের জন্য।
ঈদের দিন থেকে দশ দিন দর্শনার্থীদের জন্য নানা রকম আয়োজনে খোলা থাকবে পুরো কমপ্লেঙ। দর্শনার্থীদের জন্য থাকবে গেম শো, মিউজিক্যাল শো এবং ছোট সোনামনিদের জন্য ম্যাজিক শো। ওয়াটার পার্ক সী–ওয়ার্ল্ডে অনুষ্ঠিত হবে ডিজে শো। প্রেস বিজ্ঞপ্তি।