ঈদে সড়কে নিরাপত্তায় হাইওয়ে পুলিশের ব্যাপক প্রস্তুতি

পশুবাহী গাড়ি ও চাঁদাবাজি নিয়ে সতর্কতা

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ২৮ জুন, ২০২৩ at ৬:৫৬ পূর্বাহ্ণ

ঈদে মহাসড়কে কোনো প্রকার ফিটনেসবিহীন যানবাহন চলাচল করতে পারবে না। ফিটনেসবিহীন যানবাহন মহাসড়কে দেখা গেলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতোমধ্যে প্রায় ২৫ হাজার মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাইওয়ে পুলিশ প্রধান মো. শাহাবুদ্দিন খান। তিনি বলেন, সারা দেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে ভূমিকা রাখছে হাইওয়ে পুলিশ। বিশেষ করে ঈদসহ বিভিন্ন উৎসবে দায়িত্ব বেড়ে যায় পুলিশের এই স্বতন্ত্র ইউনিটটির। কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে পশুবাহী যানবাহনের নিরাপদ চলাচল ও চাঁদাবাজিমুক্ত মহাসড়ক নিশ্চিত করতে শক্ত অবস্থানে রয়েছে হাইওয়ে পুলিশ। এছাড়া ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নির্বিঘ্নে গাড়ি চলাচল, যাত্রীর নিরাপত্তা এবং ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে নিরলসভাবে কাজ করছে। হাইওয়ে কুমিল্লা রিজিয়নের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ জানিয়েছেন, জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে কোথাও কোনো সংগঠন বা কোনো চক্রকে চাঁদাবাজি করতে দেওয়া হবে না। কারো বিরুদ্ধে কোরবানির পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজির তথ্য পেলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে আমরা আগেই জানিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ও স্বস্তির ঈদযাত্রা নিশ্চিত করতে রিজিয়নের ২২টি থানা/ফাঁড়ির ২ পালায় ৬৬টি পেট্রল টিমের পাশাপাশি কোনো ইমার্জেন্সি সামাল দিতে ৩০টি কুইক রেসপন্স টিম রাস্তায় দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এবারের ঈদযাত্রায় যে কোনো ধরনের দুর্ঘটনা বা প্রতিবন্ধকতা দূর করতে ৫টি সরকারি ও ১২টি বেসরকারি রেকার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া দুর্ঘটনায় হতাহতের সেবার জন্য পর্যাপ্ত সংখ্যক অ্যাম্বুলেন্স থাকছে। ঈদযাত্রায় মহাসড়কে যান চলাচল নির্বিঘ্ন করতে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া কোনো যানবাহন না থামানোর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া ২টি গোয়েন্দা টিম কাজ করছে। একটি পূর্ণাঙ্গ কন্ট্রোল রুমের পাশাপাশি থাকছে ৫টি সাবকন্ট্রোল রুম। এছাড়া রিজিয়নের ৮২১ কিলোমিটার জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চাঁদাবাজি বন্ধের সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে কাজ করছে। এছাড়া নির্দিষ্ট গন্তব্য ব্যতীত কোরবানির পশুবাহী গাড়ি ভিন্ন কোনো জায়গায় জোরপূর্বক নামানো যাবে না। প্রয়োজনে হাইওয়ে পেট্রল সেই গাড়িকে তার নির্দিষ্ট হাটে পৌঁছাতে সহায়তা দিচ্ছে।

রাত্রিকালীন যানবাহনে ডাকাতি রোধে ও যাত্রীদের নিরাপত্তায় এবার হাইওয়ে পুলিশের সদস্য ছাড়াও বিশেষ ইউনিফর্মে থাকবে হাইওয়ে কমিউনিটি পুলিশিংয়ের ১০০ প্রশিক্ষিত সদস্য। এবারও হাইওয়ে পুলিশ সুপার মুহাম্মদ রহমত উল্লাহ নিজে একটি স্পেশাল টিমসহ মহাসড়কের শৃক্সখলা তদারকি করছেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, মহাসড়কে অনাকাক্সিক্ষত দুর্ঘটনা না ঘটলে ঘরমুখো মানুষকে এবারও স্বস্তির নিরাপদ ঈদযাত্রা উপহার দিতে পারব বলে আশা করি। এছাড়া বেপরোয়া গতি নিয়ন্ত্রণে হাইওয়ে পুলিশের সদস্যরা মহাসড়কে উপস্থিত থেকে দায়িত্ব পালন করছেন। মহাসড়কগুলোতে স্পিড গানের ব্যবহার আমরা চালিয়ে যাচ্ছি। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন মহাসড়ককে বেছে নিয়ে বেপরোয়া গতির গাড়িকে স্পিড গানের মাধ্যমে শনাক্ত করা হচ্ছে। যেসব মহাসড়কে যে গতি নির্ধারণ করা হয়েছে তার বেশি গতিতে চলাচলকারীদের আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে পুলিশ বিশেষ নজর রাখছে।

তিনি বলেন, মহাসড়কের আশেপাশে গরুর হাটগুলোতে জোর করে কোনো ইজারাদার যেন গরুর ট্রাক থেকে গরু নামাতে না পারে সে বিষয়গুলো কঠোরভাবে মনিটরিং করা হচ্ছে। এছাড়া গরুর ট্রাকে চাঁদাবাজির কোনো ঘটনা ঘটলে, চাঁদাবাজির সঙ্গে হাইওয়ে পুলিশের কোনো সদস্যের বিষয়ে অভিযোগ এলে তাদের বিরুদ্ধেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধসেন্ট মার্টিন দ্বীপ কখনো চাইনি : মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর
পরবর্তী নিবন্ধঈদুল আজহা ত্যাগ ও ভ্রাতৃত্ববোধের শিক্ষা দেয় : প্রধানমন্ত্রী