পবিত্র ঈদ–এ মিলাদুন্নবী। পবিত্র রবিউল আউয়াল মাসের এই দিনেই নশ্বর পৃথিবীতে রহমতের ও মুক্তির দূত হয়ে আসা হযরত মুহাম্মদ মোস্তফা সাল্লাল্লাহু তা’আলা আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্মদিবস। আমরা ধর্মপ্রাণ–মুসলিম উম্মাহ ও নবীপ্রেমী মানুষ পালন করি পবিত্র জশনে জুলুছে ঈদ–এ–মিলাদুন্নবী। এ দিনেই আমাদের সর্বশেষ ও সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (দ.)-এর পবিত্র ওফাত দিবস। বিশ্বমানবতার মুক্তির দিশারী নবী কুলের শিরোমণি সর্বশ্রেষ্ঠ নবী হযরত মুহাম্মদ (স🙂। তিনি ছিলেন সর্বযুগের সর্বশ্রেষ্ঠ মহাপুররুষ এবং মুসলিম উম্মাহ তথা সমগ্র বিশ্বের মানব জাতির কল্যাণ ও রহমত স্বরূপ। যার গুণ ও মহিমা গাথা এ বিশ্বের শেষ দিন পর্যন্ত লক্ষ কোটি অযুত–নিযুত প্রাণে প্রতিটি মূহূর্তে প্রতিধ্বনি হয়ে ফিরবে। এবারের জশনে জুলুছে ঈদ–এ–মিলাদুন্নবী হবে ৫১তম মিলাদুন্নবী। মহিমান্বিত দিনটিতে নবীপ্রেমী লাখো–লাখো জনতা ঈমানী উদ্দীপনায় জেগে ওঠে নারায়ে তাকবীর আল্লাহু আকবার, নারায়ে রেসালাত ইয়া রাসুল্লাহ, নারায়ে গাউসিয়া ইয়া গাউসুল আযম দস্তগীর (রাহ.) শাহেন শাহ সিরিকোট শ্লোগানে মুখরিত ধ্বনির মাধ্যমে আওলাদে রাসুলকে সামনে রেখে প্রিয় নবী (দ.)’র প্রতি তাজিম ও শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন। জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলীয়া মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে আয়োজিত এই জশনে জুলুছে ঈদ–এ–মিলাদুন্নবীতে চট্টগ্রামের প্রতিটি প্রান্ত থেকে দলে–দলে পায়ে হেঁটে এবং যানবাহনের মাধ্যমে উৎসব মূখর পরিবেশে মাইলের পর মাইল পথ পাড়ি দিয়ে লাখো মুসলিম জনতা নবীর প্রতি মহব্বত–শ্রদ্ধা নিবেদন ও তাজিমের উদ্দেশ্যে ছুটে আসবে। বর্ণনাতীত এমন মুসলিম জনসমুদ্র দেখে মনে হবে যেন আসমান হতে জমিনে ফেরেস্তারাই নেমে এসেছে পবিত্র মিলাদুন্নবীর প্রিয় নবী–শ্রেষ্ঠ নবীর জন্নদিন আনন্দে শরীক হতে। যে নবীকে কেন্দ্র করেই এত সবকিছুর সৃষ্টি।