ঈদ উপলক্ষে বাসের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। তবে ট্রেনের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হবে ২৩ এপ্রিল থেকে। নগরীর আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের মাঝে গত দুদিন ধরে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। প্রথম দিন যাত্রীদের তেমন ভিড় না থাকলেও গতকাল দ্বিতীয় দিনে আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতে ঈদের অগ্রিম টিকেটের জন্য ভিড় ছিল যাত্রীদের। গতকাল দুপুরে কদমতলী স্টেশন রোড ও কদমতলী বাসস্টেশনে গিয়ে দেখা যায়, আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতে যাত্রীদের ভিড়।
সবচেয়ে বেশি ভিড় দেখা গেছে যশোর-সাতক্ষীরা, বগুড়া-রংপুর এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে। যাত্রীদের অভিযোগ ছিল বাড়তি ভাড়া নেয়ার ব্যাপারে এবং টিকেট সংকটের ব্যাপারে। অনেক যাত্রী অভিযোগ করেছেন, ঈদের অগ্রিম টিকেটে দূরপাল্লার বাস ভাড়া অন্তত ৬০ শতাংশ বেশি আদায় করছে বাস কোম্পানিগুলো। ৯শ টাকার টিকেট নেওয়া হচ্ছে ১৪শ টাকা। ১ হাজার টাকার টিকেট নেওয়া হচ্ছে ১৪৫০ থেকে দেড় হাজার টাকা।
স্টেশন রোড বিআরটিএ এলাকার বাসগুলো বেশিরভাগই যায় সাতক্ষীরা, বেনাপোল, রাজশাহী, চাপাইনবাবগঞ্জ, বগুড়া, খুলনা, দিনাজপুর, ঈশ্বরদী, সিলেট, সুনামগঞ্জ, বৃহত্তর বরিশাল, মাগুরা, যশোর, খুলনা, বরগুনার রুটে। এই রুটগুলোতে বাসের চাহিদা বেশি থাকে। কিন্তু এই রুটের বাসের সংখ্য কম। এই কারণে প্রতি বছর বাড়তি ভাড়া আদায়ের অভিযোগ থাকে এই রুটের বাসগুলোতে।
এ ব্যাপারে আন্তঃজেলা বাস মালিক সমিতির মহাসচিব কফিল উদ্দিন আহমদ আজাদীকে জানান, আন্তঃজেলা বাস কাউন্টারগুলোতে ঈদের অগ্রিম টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে। সোমবার টিকেটের জন্য যাত্রীদের একটু ভিড় ছিল। এবার ঈদের লম্বা ছুটির কারণে বাসে তেমন ভিড় হবে না। মানুষ এক সাথে যাওয়ার জন্য ভিড় করবে না। আস্তে আস্তে নিজেদের সুবিধা মতো সময়ে যেতে পারবে। এখন বিশেষ করে রাজশাহী, রংপুর, বগুড়া, খুলনা, যশোর-সাতক্ষীরা এলাকার বাস কাউন্টারগুলোতে ভিড় বেশি। ওই সব এলাকায় বাস কম যায় কিন্তু ঈদে চাহিদা থাকে। আমাদের সমিতিভুক্ত প্রায় দেড় হাজার বাস রয়েছে। ঈদের প্রতিবারের মতো এই দেড় হাজার বাস চলাচল করবে। ৭শ থেকে সাড়ে ৭শ বাস যাবে, সমপরিমাণ গাড়ি আসবে।
অগ্রিম টিকেটে যাত্রীদের কাছ থেকে বাড়তি ভাড়া নেয়ার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি জানান, আমরা এতদিন ধরে সরকার কর্তৃক অনুমোদিত ভাড়ার চেয়ে কম নিয়েছি। এতদিন আমরা যেটা কম নিয়েছি ১০০ থেকে ১৫০ টাকা, এখন ঈদে আমরা সরকার কর্তৃক নির্ধারিত ভাড়াটা নিচ্ছি। রাজশাহী, খুলনা, যশোর-সাতক্ষীরা একটি বাস ঈদে গেলে আসার সময় খালি ফিরে আসতে হবে। ঈদে তো ওই দিক থেকে যাত্রী পাওয়া যাবে না। তাই আমরা এতদিন একশ-দেড়শ টাকা যেটা কম নিয়েছি সেটা নিচ্ছি। বাড়তি কোনো ভাড়া নেয়ার সুযোগ নেই।