দেশব্যাপী করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে গত ৫ এপ্রিল থেকে বন্ধ রয়েছে যাত্রীবাহী ট্রেন। তবে লকডাউনের মধ্যে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে প্রান্তিক কৃষকের কৃষিপণ্য স্বল্প দামে সারাদেশে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে পার্সেল ট্রেন চালু থাকলেও ঈদে ৫ দিন সেগুলোও বন্ধ থাকবে। অপরদিকে গুডস ট্রেন, কন্টেনার ও তেলবাহী ট্রেন বন্ধ থাকবে ৩ দিন। রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা স্নেহাশীষ দাশগুপ্ত বলেন, ১২ থেকে ১৬ মে পর্যন্ত চট্টগ্রাম থেকে জামালপুরগামী পার্সেল ট্রেন বন্ধ থাকবে। এছাড়া ১৩ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত গুডস ট্রেন, কন্টেনার ও তেলবাহী ট্রেন বন্ধ থাকবে। তিনি জানান, পার্সেল ট্রেন চলাচল করবে ঈদের পরে ১৭ মে থেকে এবং গুডস ট্রেন চলবে ১৬ মে থেকে। ১৬ মে লকডাউন শেষ হলে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের ব্যাপারে নির্দেশনা আসবে।
চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী জানান, করোনার কারণে গত বছরের মতো এবছরও যাত্রীবাহী ট্রেন বন্ধ রয়েছে। তবে পার্সেল, গুডস, কন্টেনার ও তেলবাহী ট্রেন চলাচল করলেও ঈদে সেগুলো বন্ধ থাকছে। তিনি বলেন, আগামী ১৬ মে পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার। লকডাউন শেষ হলে পরবর্তী সিদ্ধান্ত জানা যাবে।