আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে ঘরমুখো যাত্রীদের কাছে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি আজ রোববার থেকে শুরু হচ্ছে। গতবারের মতো এবারও ঈদযাত্রার অগ্রিম কোনো টিকিট কাউন্টারে বিক্রি করা হবে না। অনলাইন মাধ্যমে রেলওয়ের ওয়েবসাইট, রেলসেবা অ্যাপস ও সহজ ডটকমের প্ল্যাটফর্ম থেকে শতভাগ টিকিট বিক্রি করা হবে। যাত্রীদের নিজস্ব মোবাইলের মাধ্যমে অথবা যে কোনো অনলাইনের দোকানে গিয়ে এসব অ্যাপস থেকে ঈদের অগ্রিম সংগ্রহ করতে হবে।
রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম আজাদীকে বলেন, অনলাইনে পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীরা একসাথে টিকিট কাটতে গিয়ে সার্ভারের ভোগান্তি এড়াতে গতবারের মতো এবারও পূর্বাঞ্চল ও পশ্চিমাঞ্চলের যাত্রীদের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। পূর্বাঞ্চলে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে সকাল ৮টা থেকে। পশ্চিমাঞ্চলে অনলাইনে টিকিট বিক্রি শুরু হবে দুপুর ২টা থেকে।
তিনি বলেন, ৩ এপ্রিলের ভ্রমণের টিকিট পাওয়া যাবে ২৪ মার্চ, ৪ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৫ মার্চ, ৫ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৬ মার্চ, ৬ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৭ মার্চ, ৭ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৮ মার্চ, ৮ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ২৯ মার্চ এবং ৯ এপ্রিলের টিকিট পাওয়া যাবে ৩০ মার্চ।
এদিকে ঈদ উপলক্ষে চট্টগ্রাম–কক্সবাজার রুটে ১ জোড়া স্পেশাল ট্রেন চলবে। ট্রেন দুটি ঈদের আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল, ঈদের পরদিন থেকে তিন দিন চলবে বলে জানান রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের বিভাগীয় রেলওয়ে ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী সাইফুল ইসলাম।
এদিকে আজ রোববার ২৪ মার্চ থেকে ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়ে চলবে ৩০ মার্চ পর্যন্ত। আগামী ১১ এপ্রিল ঈদের দিন ধরে টিকিট বিক্রির তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
চলবে ৮ জোড়া স্পেশাল ট্রেন : চট্টগ্রাম–চাঁদপুর রুটে চাঁদপুর ঈদ স্পেশাল (চারটি ট্রেন), চট্টগ্রাম–ময়মনসিংহ রুটে ময়মনসিংহ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন), ঢাকা–দেওয়ানগঞ্জ রুটে দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) চলবে। এসব ট্রেন ৫ এপ্রিল থেকে ঈদের আগের দিন পর্যন্ত ও ঈদের পরের দিন থেকে পাঁচদিন পর্যন্ত চলবে।
ভৈরব বাজার–কিশোরগঞ্জ রুটে শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন), ময়মনসিংহ–কিশোরগঞ্জ রুটের শোলাকিয়া ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) শুধুমাত্র ঈদের দিন চলাচল করবে। জয়দেবপুর–পার্বতীপুর রুটে ঈদ স্পেশাল (দুটি ট্রেন) ঈদের আগে ৭ থেকে ৯ এপ্রিল পর্যন্ত তিন দিন, ঈদের পর দ্বিতীয় দিন থেকে তিন দিন পর্যন্ত চলাচল করবে।
ঈদ উপলক্ষে রেলওয়ে প্রতিদিন ৩৩ হাজার যাত্রী বহন করতে পারবে। যাত্রার দিন প্রতিটি ট্রেনে আসনের অতিরিক্ত ২৫ শতাংশ স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হবে।