ঈদুল আজহায় এবার সরকারি ও বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলো টানা ১০ দিন বন্ধ থাকবে। সে হিসেবে ছুটির আগে গতকাল ছিল ব্যাংকের শেষ কর্মদিবস। তাই ব্যাংক পাড়ায় ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ব্যাংক কর্মকর্তারা বলছেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে নগদ টাকার চাহিদা থাকায় ব্যাংকে গ্রাহকদের ভিড় বেশি ছিল। তবে বন্ধের সময়ও ব্যাংকের স্ব স্ব এটিএম বুথ সার্ভিস সচল থাকবে। এটিএম মেশিন থেকে পর্যাপ্ত টাকা তুলতে পারবেন এটি নিয়ে অনেক গ্রাহক সংশয়ে থাকেন, সে কারণে শেষ কর্মদিবসগুলোতে বরাবরের মতোই গ্রাহকরা ভিড় করেন।
গতকাল বুধবার নগরীর আগ্রাবাদ বাণিজ্যিক এলাকা, আন্দরকিল্লা, জামালখান, চকাবাজার, বহদ্দারহাট, খাতুনগঞ্জ এবং ২ নম্বর গেট এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকে গ্রাহকদের দীর্ঘ সারি লক্ষ্য করা গেছে। কয়েকজন ব্যাংক কর্মকর্তা জানান, এবার ঈদের ১০ দিনের ছুটিতে ব্যাংক বন্ধ থাকবে। গ্রাহকরা নগদ টাকার উত্তোলনে তাই ব্যাংকমুখী হয়েছেন। এছাড়া শিল্পকারখানার বেতন ভাতা উত্তোলন করার জন্যও ব্যাংকে এসেছেন গ্রাহকরা। এ কারণে অন্যান্য দিনের চেয়ে ব্যাংকে গ্রাহক উপস্থিতি বেশি ছিল। সেই সঙ্গে লেনদেনও বেড়েছে। বেশি ভাগ গ্রাহক ব্যাংকে জমার চেয়ে টাকা উত্তোলন করেছেন বেশি।
ইউসিবি ব্যাংক আন্দরকিল্লা শাখায় আসা গ্রাহক আলী আজগর বলেন, আগামীকাল (আজ) থেকে ব্যাংক বন্ধ। তাই প্রয়োজনীয় টাকা উত্তোলন করতে এসেছি। বন্ধের সময় অবশ্য এটিএম বুথ খোলা থাকলেও অনেক সময় নেটওয়ার্ক থাকে না। তাই অনিশ্চয়তায় পড়তে হয়। ফলে ব্যাংক বন্ধ থাকলে লেনদেন করতে ভোগান্তিতে পড়তে হয়। এ কারণে মূলত টাকা তুলতে এসেছি।
এদিকে ঈদের ছুটিতে ব্যাংকিং সেবার ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ ব্যাংক দেশের সব ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে নির্দেশনা জারি করেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী, বিশেষ করে ঈদের আগের দিনগুলোতে যখন নগদ টাকার চাহিদা সর্বোচ্চ পর্যায়ে থাকে, তখন যেন কোনো বুথে টাকা শেষ না হয়ে যায়, সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। গ্রাহকদের ২৪ ঘণ্টা ব্যাংকিং সেবা নিশ্চিত করতে অনলাইন ব্যাংকিং, ইন্টারনেট ব্যাংকিং, মোবাইল অ্যাপস ও মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিস যেন নিরবচ্ছিন্নভাবে সচল থাকে, তার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ছুটির সময় প্রতিটি ব্যাংকে একটি বিশেষ টিম প্রযুক্তি সহায়তা দিতে সার্বক্ষণিক দায়িত্বে থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে, প্রতিটি ব্যাংককে তাদের গ্রাহকদের উদ্দেশে সেবা চালু থাকার বিষয়টি এসএমএস, ওয়েবসাইট, অ্যাপ ও সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে প্রচার করতে হবে, যেন মানুষ সহজেই প্রয়োজনীয় তথ্য জানতে পারেন।
প্রসঙ্গত, ঈদের ছুটি আজ ৫ জুন থেকে শুরু হয়ে চলবে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত। অর্থাৎ ১৫ জুন থেকে শুরু হবে কর্মদিবস।