রাজধানী ঢাকা, বন্দর নগরী চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েকদিন ধরে টানা বা থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। আট বিভাগেই আকাশের একই অবস্থা বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এমন এক সময় এই মেঘবৃষ্টি চলছে যখন মুসলমানদের অন্যতম প্রধান ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদ উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে দেশজুড়ে। ঈদের ছুটি শুরু হলেই ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কর্মরতরা নিজ নিজ জেলায় ফিরতে শুরু করবেন। তবে অনেকের পরিবার–পরিজন চলে যাচ্ছেন আগেই। বাড়ি ফেরা ছাড়াও অনেকে কেনাকাটা করছেন পরিবার–পরিজনের জন্য। আর কোরবানির পশু কেনার জন্য হাটে ঢুঁ মারা তো ঈদের প্রধান অনুষঙ্গ। কিন্তু এই টানা বৃষ্টির কারণে স্বাভাবিক চলাফেরাতেও ভোগান্তি হচ্ছে। যারা ঈদের জন্য দূরের পথ পাড়ি দিয়ে বাড়ি যাবেন তাদেরও শঙ্কা থেকে যাচ্ছে রাস্তায় নেমে বৃষ্টির কবলে পড়তে হবে কিনা। ঈদের দিনের জামাত বা পশু কোরবানির সময় আবহাওয়া কেমন থাকবে, তা নিয়েও এক ধরনের দুশ্চিন্তা রয়েছে। খবর বিবিসি বাংলার।
আবহাওয়া কেমন থাকবে সামনের কয়দিন : গত ২৭ মে উত্তর–পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যে লঘুচাপ তৈরি হয়েছিলো, তার প্রভাবেই সারা দেশে বৃষ্টি হচ্ছে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। লঘুচাপটি পরে আর ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হয়নি, বরং গভীর নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার পর তা গত বৃহস্পতিবার রাতে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করেছে। গতকাল শনিবার দুপুরে আবহাওয়াবিদ আবুল কালাম মল্লিক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে আগামী কয়েকদিনে ঘূর্ণিঝড় বা লঘুচাপ সৃষ্টির কোনো আভাস নেই। তবে এখন যেহেতু দেশব্যাপী মৌসুমি বায়ু বইছে, তাই আগামী কয়েকদিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে থেমে থেমে হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলেও তিনি জানান। রোববারও ঢাকাসহ সিলেট, বরিশাল, খুলনা, চট্টগ্রামের কিছু কিছু জায়গায় এক–দুই পশলা বৃষ্টি হবে, বলেন মল্লিক। তিনি জানান, ২ জুনের দিকে বৃষ্টিপাত কমে আসবে। কিন্তু একেবারে থেমে যাবে না। এই সপ্তাহ জুড়ে সারাদেশেই হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টিপাত হবে। ঈদের দিন সারাদেশেই বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা আছে। তবে তিন দিন আগে আরও স্পেসিফিক করে বলা সম্ভব, জানিয়ে তিনি আরও বলেন, এই পুরো সময়টা জুড়ে ভ্যাপসা গরম থাকবে।
কারণ হিসেবে তিনি বলেন, বাতাসে জলীয় বাষ্পের আধিক্য থাকবে বলে গরম পড়বে। মূলত, বাতাসে যখন জলীয় বাষ্পের উপস্থিতি বেশি থাকে, তখন গরম অনুভূত হয়। তিনি আরও জানান যে আগামী দুই তারিখের পর গরম কিছুটা বাড়বে এবং আগামী ৭ জুনের পর ৩২ থেকে ৩৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের মাঝে ওঠানামা করবে।