আসন্ন ঈদুল আযহা ঘিরে চট্টগ্রাম নগর ছাড়ছে মানুষ। অনেকেই ইতোমধ্যে চলে গেছেন প্রিয়জনদের সাথে ঈদের ছুটি কাটাতে। আজ ও কালকের মধ্যে আরও অনেকেই চলে যাবেন নগর ছেড়ে। কোলাহলপূর্ণ নগর থাকবে ফাঁকা। সড়কগুলোতে থাকবে না চিরচেনা সেই যানজট। ঈদের কোলাহলহীন এ নগরে নিরাপত্তা দিতে পুরোদমে কাজ করবে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
নগরের স্থায়ী বাসিন্দা বা যারা ছুটিতে বাড়িতে যেতে পারবে না তাদের নিরাপত্তা এবং সর্বোপরি সার্বিক নিরাপত্তার জন্য চার স্তরে কাজ করবে পুলিশ। ইতোমধ্যে ঈদের ব্যস্ততা ঘিরে পুলিশ অতিরিক্ত তৎপরতা চালাচ্ছে। প্রতিটি কোরবানির পশুর হাটে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সাদা পোশাকে এবং পুলিশি পোশাকে উভয় পোশাকে পুলিশ কাজ করছে। রয়েছে পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ। এছাড়া যাতায়াতের প্রধান মাধ্যম বাস, ট্রেন, লঞ্চ–স্টেশনগুলোতে তদারকি করছে পুলিশ। পাশাপাশি সড়কে যানজট নিরসনের জন্য এবং ঈদ যাত্রাকে নিরবচ্ছিন্ন করার জন্য কাজ করছে ট্রাফিক পুলিশ। জানা গেছে, ঈদুল আযহা উপলক্ষে ২০ লাখের বেশি মানুষ শহর ছাড়বে। বাস, মাইক্রোবাস, ট্রেন ও লঞ্চে যে যেভাবে পারছে শহর ছেড়ে যাচ্ছে। এবারে ঈদের ছুটিতে নগরের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটার তেমন আশঙ্কা নেই। তবে ঈদের ছুটিতে নগরজুড়ে ফাঁকা থাকার সুযোগে বাসা–বাড়িতে চুরির ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। অন্যান্য অপরাধ কর্মকাণ্ড এ সময়ে তেমন ঘটে না।
ঈদুল আজহার দিন শনিবার নগরীতে কোরবানির পশুর চামড়া সংগ্রহ ও পরিবহনের নিরাপত্তায় বিশেষ টিম রয়েছে পুলিশ ও র্যাবের। ঈদের দিন নগরের যেসব জায়গায় ঈদের নামাজ অনুষ্ঠিত হবে সেখানে থাকবে পুলিশের নিরাপত্তা বলয়। চামড়া সংগ্রহ ও পরিবহনের নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও পুলিশের তদারকি থাকবে বলে সিএমসপি সূত্রে জানা গেছে।
পুলিশ সূত্র জানিয়েছে, এবার ঈদুল আযহায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি যথেষ্ট সন্তোষজনক। নগরের বিভিন্ন জায়গায় ঈদের জামাতে নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ। পুলিশের একটি অংশ গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর পয়েন্টগুলোর নিরাপত্তায় থাকবে। একটি অংশ ঈদের জামাতের স্থানে দায়িত্বে থাকবে এবং একটি ভাগ পুরো নগরজুড়ে নিরাপত্তায় থাকবে। প্রতিটি থানা এলাকায় নিয়মিত টিমের পাশাপাশি অতিরিক্ত টিম নামানো হয়েছে। মোবাইল টিম, ফুট পেট্রোল, মোটরসাইকেল পেট্রোলের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে।
ঈদের ছুটিতে নগরে নিরাপত্তা প্রসঙ্গে সিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের অতিরিক্ত উপ–পুলিশ কমিশনার (এডিসি) মাহমুদা বেগম আজাদীকে বলেন, ঈদের ছুটিতে নগরবাসীর নিরাপত্তার কথা চিন্তা করে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। নগরের সবগুলো আবাসিক এলাকায় পুলিশের টহল জোরদার করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে স্থানীয় থানা পুলিশকে। ঈদের জামাতসহ ঈদের পর পর্যন্ত বাসস্ট্যান্ড, রেল স্টেশনে মোতায়েন থাকবে অতিরিক্ত পুলিশ।
তিনি বলেন, আমাদের পোশাকি নিরাপত্তা ব্যবস্থা আছে, সাদা পোশাকে ব্যবস্থা আছে। আমাদের স্পেশালাইজড টিম প্রস্তুত আছে। আমাদের থানার বিভিন্ন ধরনের গোয়েন্দা সংস্থাও কাজ করছে।