চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান না বাড়লেও ঈদের ছুটির কারণে সংকট থেকে আপাতত মুক্তি মিলেছে। সীতাকুণ্ডের বড় বড় স্টিল কারখানাগুলো কোরবানির ঈদের কারণে বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গ্যাসের ব্যবহার কমে যাচ্ছে। এতে করে চারদিকে গ্যাসের জন্য যে হাহাকার শুরু হয়েছিল একদিনের মাথায় তার অবসান ঘটেছে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন সিএনজি রিফুয়েলিং স্টেশনে যানবাহনের দীর্ঘ লাইন দেখা গেছে। বিকেলের দিকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে।
কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি সূত্র জানিয়েছে, চট্টগ্রামে ৩১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাসের যোগানের বিপরীতে ২৮০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস যোগান দেয়া হচ্ছিল। এরমধ্যে কাফকো, সিইউএফএল এবং রাউজান তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১ নম্বর ইউনিটের উৎপাদন চালু রাখতে গিয়ে সংকট আরো প্রকট হয়ে উঠে। বুধবার রাতে নগরী ও সীতাকুণ্ডের বিভিন্ন এলাকায় বাসা বাড়ি এবং কারখানায় গ্যাস সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে। গতকাল দুপুর পর্যন্ত সংকট তীব্র থাকে। দুপুরের পর বিভিন্ন কল-কারখানার গ্যাস ব্যবহার কিছুটা কমে আসতে শুরু করে। ছোটখাটো বহু কারখানা গ্যাস ব্যবহার কমিয়ে দেয়। বড় বড় কারখানাগুলোও গ্যাস ব্যবহার কমাতে শুরু করে। চাহিদা কমে আসায় পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করে।
চট্টগ্রামে গ্যাসের যোগান কমলেও ব্যবহার কমে যাওয়ায় গতকাল বিকেল থেকে পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে বলেও সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে।