ঈদের একদিন আগে চড়া মসলার বাজার

আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দামও বাড়ছে

জাহেদুল কবির | বুধবার , ২৮ জুন, ২০২৩ at ৬:৪৬ পূর্বাহ্ণ

কোরবানির ঈদের বাকি আছে আর একদিন। এরমধ্যে আরেক দফা বাড়লো মসলার বাজার। এছাড়া ঊর্ধ্বমুখী রয়েছে আদা, রসুন ও পেঁয়াজের দাম। ব্যবসায়ীরা বলছেন, কোরবানির ঈদকে কেন্দ্র করে মসলা জাতীয় পণ্যের চাহিদা বেড়ে গেছে। তাই দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে ভোক্তারা বলছেন, কোরবানির সময় মসলার চাহিদা বেড়ে যায়। চাহিদা বাড়ার সাথে সাথে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। প্রশাসনের উচিত মনিটরিং করে বাজার স্থিতিশীল রাখা। গতকাল চাক্তাইখাতুনগঞ্জের পাইকারি মসলার বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে এক হাজার ৪০০ টাকা, জিরা ৭৮০ টাকা, গোল মরিচ ৫৮০ টাকা, দারুচিনি ২৯৫ টাকা এবং লবঙ্গ ১ হাজার ৩৫০ টাকায়। গত একদিনের ব্যবধানে প্রায় সব ধরনের মসলার দাম ১০০ থেকে ২০০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। অপরদিকে পেঁয়াজ ৩৬ টাকা, আদা ২৯০ থেকে ৩০০ টাকা এবং রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৫০ থেকে ১৬০ টাকায়।

পাইকারী ব্যবসায়ীরা জানান, আমাদের দেশে প্রায় সব ধরনের মসলা আমদানি করতে হয়। এলাচ আসে গুয়েতেমালা থেকে। বাকি সব পণ্য ভারত থেকেও আসে। সম্প্রতি মসলার বাজারের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় বাজারে দামও বেড়েছে। এছাড়া ডলারের মূল্যবৃদ্ধির কারণে ব্যবসায়ীদের আমদানি খরচ বেড়েছে। এটিও দামে প্রভাব পড়েছে। এদিকে কাজীর দেউড়ির খুচরা বাজারে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে প্রতি কেজি এলাচ বিক্রি হচ্ছে ২ হাজার থেকে ২ হাজার ২০০ টাকা, দারুচিনি ৫০০ টাকা, জিরা ১ হাজার টাকা এবং লবঙ্গের কেজি বিক্রি হচ্ছে ১ হাজার ৬০০ টাকা। অন্যদিকে পেঁয়াজ ৪০ টাকা, আদা মানভেদে ৩২০ থেকে ৩৫০ টাকা এবং রসূন বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। কাজীর দেউড়ির খুচরা বিক্রেতা মো. মিজানুর রহমান বলেন, পাইকারী থেকে আমরা অল্প অল্প পণ্য এনে বিক্রি করি। পাইকারীতে দাম বাড়ার কারণে খুচরাতেও বেড়েছে।

কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব) চট্টগ্রাম বিভাগীয় সভাপতি এস এম নাজের হোসাইন আজাদীকে বলেন, ভোগ্যপণ্যের বাজার ব্যবসায়ীদের মর্জির ওপর নির্ভরশীল। ওরা প্রয়োজন মতো দাম ওঠানামা করান। অনেক দিন ধরে গরম মসলার বাজার ঠান্ডা ছিল। কিন্তু কোরবানির ঈদের সময় ঘনিয়ে আসে, এর সাথে পাল্লা দিয়ে ব্যবসায়ীরা দামও বৃদ্ধি করতে থাকেন। এছাড়া আদা ও রসুনের বাজারে এক ধরনের অরাজকতা চলছে। আমদানি মূল্যের সাথে বিক্রয়মূল্যের পার্থক্য অনেক বেশি। এছাড়া মাঝখানে ভারতীয় পেঁয়াজ আমদানি হওয়ার পর পর বাজার কমলেও এখন বেড়ে যাচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআশানুরূপ বুকিং নেই কক্সবাজারের হোটেল-মোটেলে
পরবর্তী নিবন্ধবাজারে পর্যাপ্ত লবণ, সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা