ঈদেও পর্যটকশূন্য পাহাড়

খাগড়াছড়ি প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ১৮ মে, ২০২১ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

চলমান লকডাউনের কারণে বিপর্যস্ত পার্বত্য চট্টগ্রামের পর্যটন খাত। গত ১৪ মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানের সকল পর্যটন কেন্দ্র। এরপর থেকেই পর্যটকশূন্য পাহাড়। এবারের ঈদেরও পর্যটক আসেনি। তাই দিন দিন বাড়ছে এই খাতের আর্থিক ক্ষতি। পর্যটন সংশ্লিষ্টদের দাবি, গত দুই দশকে গড়ে উঠা পাহাড়ের পর্যটন খাত সবচেয়ে কঠিন সময় মোকাবেলা করছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে পাহাড়ের পর্যটনে দারুণ চাঙাভাব বিরাজ করছিল। তবে বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে সুনসান নিবরতা। প্রশাসনের অনুমতি না থাকায় বন্ধ রয়েছে হোটেল মোটেল। আগের বছরগুলোতে ঈদের মৌসুমে ভরপুর বাণিজ্য হলেও এবার তা শূন্য। অনেক ব্যবসায়ী পুঁজি হারানোর আশঙ্কায় রয়েছে। পর্যটন উদ্যোক্ততা ফয়সাল আহমেদ রকি জানান, মার্চের মাঝামাঝি সময় থেকে পর্যটনকেন্দ্রগুলোতে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়েছে। এরপর থেকেই পর্যটকশূন্য পাহাড়। ফলে এখাতের ব্যবসায়ীরা লোকসান গুণছে। আয় না থাকলেও কর্মচারীদের মাসিক বেতন পরিশোধ করতে হচ্ছে। অতিথি না থাকলেও রিসোর্ট রক্ষণাবেক্ষণ বাবদ খরচ হচ্ছে। অথচ কোন আয় নেই। মাসিক চুক্তিতে নেয়া রিসোর্টের ভাড়া পরিশোধ বন্ধ রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ভাড়া পরিশোধ নিয়ে রিসোর্ট মালিকদের সাথে আলোচনার ভিত্তিতে এই বিষয়ে সিন্ধান্ত নেয়া হবে। রিসোর্টগুলোর অর্ধেক ভাড়া পরিশোধ করলেও অনেক বিনিয়োগকারী আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
পরিবহন মালিক অরুণ কুমার দাস বলেন, খাগড়াছড়িতে প্রায় ২৫০টি মাহেন্দ্র গাড়ি খাগড়াছড়ি-সাজেকে যাতায়াত করে। বেশির ভাগ গাড়ি ৩৮ থেকে ৪০ হাজার টাকা মাসিক কিস্তি পরিশোধ করে। তবে আয় না থাকায় এসব গাড়ির কিস্তি পরিশোধ করতে পারছে না মালিকরা। কিস্তি পরিশোধের জন্য চাপ দিচ্ছে পরিবহন কোম্পানিগুলো।
খাগড়াছড়ি পর্যটন মোটেল এর ইউনিট ব্যবস্থাপক এ কে এম রফিকুল ইসলাম বলেন, করোনার কারণে সবচেয়ে বেশি বিপর্যস্ত খাত পর্যটন। হোটেল মোটেল বন্ধ হওয়ায় অনেকে চাকরি চ্যুত হয়েছে। এতে অনেকে বেকার হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি উন্নতি হলেও পর্যটন খাতে মানুষের আস্থা ফেরাতে আরো এক বছর সময় লাগবে। মানুষ শতভাগ নিরাপদ থেকে ভ্রমণ করতে বের হয়।
খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক প্রতাপ চন্দ্র বিশ্বাস জানান, সরকারের নির্দেশ মোতাবেক খাগড়াছড়ির সকল পর্যটন কেন্দ্র বন্ধ রাখা হয়েছে। করোনা সংক্রমণ রোধে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। সংক্রমণ কমে আসলে সরকারের নির্দেশনা পেলে আবারো পর্যটন কেন্দ্র খুলে দেয়া হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযুবলীগ নেতা রাজুকে আরো ৫ দিনের রিমান্ড চায় পুলিশ
পরবর্তী নিবন্ধকোয়ারেন্টিনে ভারত ফেরত তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ