পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে যানজট নিরসন ও ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাত্রা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস–মিনিবাস মালিক–শ্রমিক ও পরিবহন সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে চট্টগ্রাম মেট্টোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ট্রাফিক–দক্ষিণ বিভাগের মতবিনিময় সভা গতকাল বুধবার নগরীর আইস ফ্যাক্টরি রোডের ট্রাফিক–দক্ষিণ কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন ট্রাফিক–দক্ষিণের উপ–পুলিশ কমিশনার (ডিসি) এন. এম. নাসিরুদ্দিন। সভার শুরুতে তিনি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে ঈদ–উল–আযহা উপলক্ষে যানজট নিরসনকল্পে চিহ্নিত সমস্যা ও প্রতিকার বিষয়ক সার্বিক পরিকল্পনা উপস্থাপন করেন। পরে ঈদ–উল–আযহার ছুটিতে জনসাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা, ফিটনেস ও লাইসেন্স বিহীন ত্রুটিপূর্ণ গাড়িতে যাত্রী পরিবহন না করার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করে নির্দেশনা দেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সিএমপির এডিসি (ট্রাফিক–দক্ষিণ) মো. আকরামুল হাসান, এসি (ট্রাফিক–দক্ষিণ) মারেফুল করিম, টিআই (প্রশাসন) বিপ্লব কুমার পাল, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অলি আহমদ, আরাকান সড়ক পরিবহন শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ মুছা, মো. জাফর উদ্দিন চৌধুরী, নুরুল ইসলাম চৌধুরী, মোহাম্মদ ইউনুছ প্রমুখ।
সভায় ডিসি (ট্রাফিক) বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যাত্রী সাধারণের কাছ থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় ও সড়কে যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং করে যানজট সৃষ্টি করে স্বাভাবিক যাত্রায় বিঘ্ন ঘটানো যাবে না। এ লক্ষ্যে কাউন্টারভিত্তিক নজরদারি বৃদ্ধি করা হবে। শহরে প্রবেশকারী পশুবাহী গাড়ির নির্বিঘ্ন চলাচল নিশ্চিত করতে হবে। ফিটনেসবিহীন ও জরাজীর্ণ–ভাঙাচোরা গাড়ি রাস্তায় নামানো থেকে বিরত থাকতে হবে। জনসাধারণের ভোগান্তি রোধে অস্থায়ী বা মৌসুমী বাস কাউন্টার করা যাবে না। এক লাইনে একটি করে কাউন্টারে একটা করে গাড়ি চলাচল নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি আরও বলেন, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, ছাদে যাত্রী নেয়া ও যাত্রীর লাগেজ নিয়ে টানাটানি করা যাবে না। অতিরিক্ত ভাড়ার আশায় যাতে এক রুটের গাড়ি অন্য রুটে চলাচল করতে না পারে এবং শহর এলাকার গাড়ি যাতে বাইরে রিজার্ভ ভাড়ায় যেতে না পারে সে ব্যাপারে নজরদারী বাড়ানো হবে।