ঈদযাত্রার প্রতিটি ট্রেনে যুক্ত হবে অতিরিক্ত বগি

পাহাড়তলী কারখানায় মেরামত হচ্ছে ৯০টি বগি

শুকলাল দাশ | রবিবার , ৯ এপ্রিল, ২০২৩ at ৫:১৬ পূর্বাহ্ণ

আসন্ন ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে প্রতি বছরের মতো এবারও রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের প্রতিটি আন্তঃনগর এবং মেইল ট্রেনে অতিরিক্ত বগি (কোচ) সংযোজনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এজন্য পাহাড়তলী রেলওয়ে কারখানায় ৯০টি বগি মেরামত করা হচ্ছে। ইতোমধ্যে ৫০টির মেরামত কাজ শেষ হয়েছে যা পরিবহন বিভাগকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। এগুলো এখন ঈদযাত্রার ট্রেনে যুক্ত হবে। অবশিষ্ট ৪০টির কাজ চলমান রয়েছে বলে জানান কারখানার সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী। এদিকে পাহাড়তলী ওয়ার্কশপের পাশাপাশি সৈয়দপুর ওয়ার্কশপেও ৪৪টি মিটারগেজ কোচ মেরামত করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।

আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে অতিরিক্ত কোচ সংযোজন করে বাড়তি যাত্রী পরিবহন ও ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ ভ্রমণ নিশ্চিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। ঈদে যাত্রীসেবা নির্বিঘ্ন করতে সব আন্তঃনগর ট্রেনে ৯০টি অতিরিক্ত বগি সংযোজন, সাপ্তাহিক ছুটি বাতিলের পাশাপাশি পাঁচ জোড়া স্পেশাল ট্রেন ও দুই জোড়া ঈদ স্পেশাল পরিচালনার প্রস্তুতি নিয়েছে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল। পরিবহন বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে রেলভবনে। এই ব্যাপারে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের পাহাড়তলী কারখানার কর্ম ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী আমির উদ্দিন আজাদীকে বলেন, এবারের ঈদে অতিরিক্ত যাত্রীর চাহিদা মেটানোর জন্য পাহাড়তলী ওয়ার্কশপে ৯০টি বগি মেরামতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ৫০টি মেরামত শেষ হয়েছে। অপরগুলোর কাজ চলছে। ঈদের আগেই অবশিষ্ট ৪০টির মেরামত কাজ শেষ হবে। সবগুলো বগি ঈদ যাত্রায় যুক্ত হলে বাড়তি অনেক যাত্রী পরিবহন করা যাবে। এদিকে গত শুক্রবার থেকে ট্রেনের ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। গতকাল দ্বিতীয় দিনের মতো যাত্রীদের মাঝে অগ্রিম টিকিট দেয়া হয়েছে। মোট পাঁচদিন যাত্রীদের মাঝে ঈদের অগ্রিম টিকিট বিক্রি করা হবে বলে জানান চট্টগ্রাম রেল স্টেশনের ম্যানেজার রতন কুমার চৌধুরী। তিনি বলেন, এবার যেহেতু শতভাগ টিকিট অনলাইনে বিক্রি করা হবে, এর ফলে স্টেশনে যাত্রীদের রাত জেগে অপেক্ষা করতে হবে না এবং স্টেশনে আগের মতো ভিড় হবে না। চট্টগ্রাম থেকে ১০টি আন্তঃনগর, মেইল এবং স্পেশাল ট্রেনে অতিরিক্ত বগিসহ মিলে প্রতিদিন প্রায় ১২ হাজারের মতো টিকিট বিক্রি হবে। শুধুমাত্র ১০টি আন্তঃনগর ট্রেনের সাড়ে ৭ হাজার টিকিট বিক্রি হবে অনলাইনে। অন্যান্য মেইল ট্রেন ও স্পেশাল ট্রেনের টিকিট কাউন্টারে বিক্রি হবে। এছাড়াও ঈদে ঘরমুখো যাত্রীদের সুবিধার্থে শোভন শ্রেণির (নন এসি) মোট আসনের ২৫ শতাংশ আসনবিহীন টিকিট (স্ট্যান্ডিং) যাত্রার দিন কাউন্টার থেকে বিক্রি করা হবে। যাত্রীর বাড়তি চাপ সামাল দিতে ঈদের পাঁচ দিন আগে থেকে চাহিদা অনুযায়ী মেইল ও এঙপ্রেস ট্রেনে অতিরিক্ত বগি সংযোজন করা হবে।

প্রতি বছর ঈদ যাত্রায় ইঞ্জিন সংকটের কারণে ট্রেনের সিডিউল ঠিক রাখা অনেক কষ্ট হয়ে যায়। এবার ঈদ যাত্রায় ঘরমুখো মানুষের যাতায়াতের সুবিধার্থে রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলে ১১৬টি মিটারগেজ লোকোমোটিভ (ইঞ্জিন) যাত্রীবাহী ট্রেনে ব্যবহারের জন্য আগেভাগেই প্রস্তুতি নিয়েছে। একই সাথে পশ্চিমাঞ্চলের জন্য ১০২টি ইঞ্জিন ব্যবহারের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধচারুকলায় এবার হচ্ছে না মঙ্গল শোভাযাত্রা
পরবর্তী নিবন্ধবদর দিবস : সত্য ও ন্যায়ের পথে অবিচল থাকার প্রেরণা