কক্সবাজারের ঈদগাঁও নদীতে সরকারি অনুমতি ছাড়াই রাত-দিন বালি উত্তোলন চলছে। অথচ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। স্থানীয় প্রভাবশালী সিন্ডিকেটের নেতৃত্বে চলা এই কার্যক্রমে শুধু পরিবেশের ক্ষতি নয়, গ্রামীণ সড়ক ও স্থানীয় নিরাপত্তাও চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে।
অভিযোগ উঠেছে, একটি চিহ্নিত সিন্ডিকেট প্রশাসনের নীরবতার সুযোগে সরকারি ইজারা ছাড়াই নদী থেকে বালি তুলে ডাম্পার ও মিনি ট্রাকে উপজেলার বিভিন্ন স্থানে সরবরাহ করছে। বালিভর্তি যানবাহনের কারণে গ্রামীণ সড়কগুলো ভেঙে পড়ছে। সম্প্রতি বালির গর্তে পড়ে এক শিশুর মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে তীব্র ক্ষোভ সৃষ্টি হয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর থেকেই ইসলামাবাদ ইউনিয়নের গজালিয়া রাজঘাট এলাকায় ড্রেজার ও সেলো মেশিন বসিয়ে রাত-দিন বালি তোলা হচ্ছে। রাজনৈতিক ছত্রছায়ায় সিন্ডিকেটটি এতটাই প্রভাবশালী হয়ে উঠেছে যে প্রশাসন কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারছে না। এতে একদিকে সরকারি রাস্তা-ঘাট নষ্ট হচ্ছে, অন্যদিকে সরকারের কোটি টাকার রাজস্বও হারাচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে যোগাযোগ করলে সিন্ডিকেটের সদস্যরা একে অপরকে দায়ী করে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন।
কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের রাজঘাট বনবিট কর্মকর্তা শাহ আলম বলেন, “আমাদের রিজার্ভ বনভূমিতে বালি উত্তোলন হচ্ছে না।”
ফুলছড়ি রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. রাশিক আহসান জানান, “এটি আমাদের রিজার্ভ বনভূমি নয়, সরকারি জায়গা। বিষয়টি উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করা হয়েছে।”
ঈদগাঁও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বিমল চাকমা জানান, “অবৈধ বালি উত্তোলন সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে শীঘ্রই অভিযান পরিচালনা করে বালি জব্দ করা হবে।”
স্থানীয়দের দাবি, প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ না নিলে পরিবেশ, নিরাপত্তা ও সরকারি সম্পদ একসঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং জনগণের ক্ষোভ আরও বৃদ্ধি পাবে।