ই-অকশনে তোলা হচ্ছে ৪ কোটি টাকার পেঁয়াজ

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস

আজাদী প্রতিবেদন | শুক্রবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২১ at ৭:২৯ পূর্বাহ্ণ

আড়াই মাস পর দ্বিতীয়বারের মতো ই-অকশনে (অনলাইন নিলাম) যাচ্ছে চট্টগ্রাম কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এবার ২০ লটে প্রায় ৪ কোটি টাকা মূল্যের ১১’শ টন পেঁয়াজ নিলামে তোলা হচ্ছে। বিডাররা (নিলামে অংশগ্রহণকারী) আগামী রোববার এবং সোমবার পণ্য পরিদর্শন করতে পারবেন। এছাড়া আগামী ১৯ জানুয়ারি দুপুর ১২টা থেকে তার পরদিন ২০ জানুয়ারি বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিডাররা চট্টগ্রাম কাস্টমসের ওয়েবসাইটের ই-অকশন ক্যাটাগরিতে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন (যদি না থাকে) করে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দাখিল করে ঘরে বসেও নিলামে অংশ নিতে পারবেন। অনলাইনে সফলভাবে দরপত্র জমা দেয়া প্রক্রিয়া শেষ হলে ইমেইলের মাধ্যমে বিডারকে অবহিত করা হবে। ইতোমধ্যে ই-অকশন উপলক্ষে কাস্টমসের ওয়েবসাইটে প্রতিটি লটের সংরক্ষিত মূল্য এবং পণ্যের ছবি সংযুক্ত করা হয়েছে।
এদিকে গত অক্টোবরে অনুষ্ঠিত প্রথম ই-অকশনের অভিজ্ঞতার আলোকে কয়েকজন বিডার দাবি করেন, ই-অকশন কেবল নামেই হচ্ছে। শুধুমাত্র দরপত্র জমা দেয়াটা অনলাইনে হচ্ছে। এছাড়া পে-অর্ডার জমা দেয়া থেকে শুরু করে বাকি সব প্রসেসিং ম্যানুয়ালিই হচ্ছে। এমনকি ম্যানুয়াল নিলামের মতো নিলাম কমিটির অনুমোদনের জন্যও অপেক্ষা করতে হচ্ছে। ফলে ই-অকশন কনসেপ্টটিও পুরোপুরি বাস্তবায়িত হচ্ছে না।
ই-অকশন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম কাস্টমসের নিলাম শাখার সহকারী রাজস্ব কর্মকর্তা মো. সাখাওয়াত হোসেন দৈনিক আজাদীকে বলেন, পেঁয়াজ পচনশীল পণ্য তাই আমরা দ্রুততার সাথে সেগুলো ই-অকশনে দিয়ে দিচ্ছি। সম্প্রতি চীন, নিউজিল্যান্ড, মিশর, পাকিস্তান এবং তুরস্ক থেকে এসব পেঁয়াজ আমদানি হয়েছে। ইতোমধ্যে কন্টেনারেই অনেক পেঁয়াজে চারা গজিয়ে গেছে। তাই নিলামে এসব পেঁয়াজ বিক্রি করার উদ্যোগ নিয়েছি।
জানা গেছে, গত ২৭ অক্টোবর জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (মূসক নীতি) মো. মাসুদ সাদিক চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসে ই-অকশন কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন। ওইদিন ১৬টি লটে ফেব্রিঙ, রসূন, সোডা অ্যাশ, আয়রন পাইপ ও স্ক্র্যাপ জাতীয় ই-অকশনে দেয়া হয়। সেই অকশনে ১৬ লটের মধ্যে ৮টিতে ৩৮টি দরপত্র জমা পড়ে। উল্লেখ্য, আমদানীকৃত পণ্য জাহাজ থেকে বন্দর ইয়ার্ডে নামার ৩০ দিনের মধ্যে সরবরাহ নিতে হয়। এই সময়ের মধ্যে কোনো আমদানিকারক পণ্য সরবরাহ না নিলে তাকে নোটিশ দেয় কাস্টমস। নোটিশ দেওয়ার ১৫ দিনের মধ্যে এই পণ্য সরবরাহ না নিলে তা নিলামে তুলতে পারে কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এছাড়া মিথ্যা ঘোষণায় জব্দ পণ্যও নিলামে তোলা যায়। সর্বমোট ৪৫ দিনের মধ্যে নিলামে তোলার এই নিয়ম দীর্ঘদিন ধরে কার্যকর করতে পারেনি বন্দর ও কাস্টমস। এতে করে বন্দরের ইয়ার্ডে এসব কন্টেনার পড়ে থাকে। আমদানি পণ্য যথাসময়ে খালাস না নেয়ায় বন্দরগুলোতে প্রায়ই কন্টেনার জট লাগে। দিনের পর দিন কন্টেনার পড়ে থাকলেও বন্দর কর্তৃপক্ষও চার্জ পায় না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধদীঘিনালায় ট্রাক্টর চাপায় শিক্ষার্থী, ভূজপুরে বাইকের ধাক্কায় বৃদ্ধার মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামে কয়েকমাসের মধ্যে শনাক্তের সর্বনিম্ন হার