ইয়েমেনে বন্দি ভারতীয় নার্স নিমিশা প্রিয়ার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর আপাতত পিছিয়ে গেছে। ১৬ জুলাইয়ে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার কথা ছিল। কর্তৃপক্ষ শেষ মুহূর্তে তা পিছিয়ে দিয়েছে। ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রণালয় এ খবর জানিয়েছে। খবর বিডিনিউজের।
মৃত্যুদণ্ড পেছানোয় সাময়িক স্বস্তি মিলেছে। ভারত এখনও প্রিয়াকে বাঁচানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবে প্রিয়া সাজা থেকে রেহাই পেতে হলে একমাত্র পথ হল নিহতের পরিবারের কাছ থেকে ক্ষমা পাওয়া। ইয়েমেনের নাগরিক তালাল আব্দো মাহদিকে হত্যার অভিযোগে ৩৭ বছর বয়সি নিমিশা প্রিয়াকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছিল। ২০২০ সালে স্থানীয় এক আদালত তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়। তার পরিবার এই রায়ের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার পর আদালত ২০২৩ সালে তাদের আবেদন খারিজ করে।
এবছর জানুয়ারিতে হুতি বিদ্রোহীদের সুপ্রিম পলিটিক্যাল কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট মাহদি আল–মাশাত ভারতীয় এই নারীর মৃত্যুদণ্ড অনুমোদন করেন। এরপর ১৬ জুলাই বুধবার তার সাজা কার্যকরের দিন নির্ধারণ করা হয়েছিল। তাকে বাঁচাতে ভারত সরকারের পাশাপাশি ইয়েমেনে অভিবাসী ভারতীয়দের একাংশ খোলেন সেভ নিমিশা প্রিয়া ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকশন কাউন্সিল।