ইসি বিলে রাষ্ট্রপতির সই, অপেক্ষা সার্চ কমিটির

| রবিবার , ৩০ জানুয়ারি, ২০২২ at ৫:২৯ পূর্বাহ্ণ

সংসদে পাস হওয়া প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ বিল-২০২২ এ সই করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। ফলে এখন আইন অনুযায়ী সার্চ কমিটি গঠনের পথ সুগম হলো। গতকাল শনিবার রাষ্ট্রপ্রধান বিলটিতে সম্মতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের পরিচালক (গণসংযোগ) মো. তারিক মাহমুদ। খবর বিডিনিউজের।
নিয়ম অনুযায়ী, রাষ্ট্রপ্রতি সংসদে পাস হওয়া কোনো বিলে সম্মতি দিলে তা আইনে পরিণত হয়। সরকার এখন আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন আইনটির গেজেট প্রকাশ করবে। এরপরই আসবে সার্চ কমিটির ঘোষণা, যেটিও গেজেট আকার প্রকাশ করা হবে।
গত বৃহস্পতিবার বহুল আলোচিত এ বিল অনুমোদন দেয় দেশের আইনসভা। সংসদের ভেতরে ও বাইরে আইনটি নিয়ে চলছে অনেক আলোচনা সমালোচনা। ইসি গঠনে দীর্ঘদিন ধরে আইন প্রণয়নের দাবি উঠেছিল।
প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের সময় থেকে সার্চ কমিটি গঠন করে নির্বাচন কমিশন গঠন শুরু হয়, যা অনুসরণ করেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এবার সার্চ কমিটি গঠনে রাষ্ট্রপতির সংলাপের মধ্যেই আইনের খসড়া চূড়ান্ত অনুমোদন দেয় মন্ত্রিসভা কমিটি, যা গত বৃহস্পতিবার সংসদে পাস হয়। এদিন অনুসন্ধান কমিটিতে রাষ্ট্রপতির মনোনীত দুই ‘বিশিষ্ট নাগরিকের’ মধ্যে একজন নারীকে রাখার বাধ্যবাধকতা রেখে বহুল আলোচিত নির্বাচন কমিশন গঠন আইনের প্রস্তাবে সায় দেয় জাতীয় সংসদ। পাস হওয়া বিলে সার্চ কমিটির কাজ ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে শেষ করতে বলা হয়েছে, যা খসড়ায় ১০ কার্যদিবস ছিল।
গতকাল বঙ্গভবনের এক কর্মকর্তা বলেন, নতুন এ আইন অনুযায়ী এখন পরবর্তী নির্বাচন কমিশন গঠনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এবং নির্বাচন কমিশনারদের নাম সুপারিশের জন্য অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন রাষ্ট্রপতি। রাষ্ট্রপতি ছয় সদস্যের অনুসন্ধান কমিটি গঠন করবেন, যার সভাপতি হবেন প্রধান বিচারপতি মনোনীত আপিল বিভাগের একজন বিচারক। সদস্য হিসেবে থাকবেন প্রধান বিচারপতির মনোনীত হাইকোর্ট বিভাগের একজন বিচারক, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক, সরকারি কমিশনের চেয়ারম্যান এবং রাষ্ট্রপতি মনোনীত দুজন বিশিষ্ট নাগরিক। এ দুই বিশিষ্ট নাগরিকের মধ্যে একজন হবেন নারী। তিন জন সদস্যের উপস্থিতিতে কমিটির সভার কোরাম হবে। এ কমিটির কাজে সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে কাজ শেষ করতে সার্চ কমিটিকে।
কে এম নূরুল হুদার নেতৃত্বাধীন বর্তমান ইসির মেয়াদ শেষ হচ্ছে আগামী ১৪ ফেব্রুয়ারি। এর আগেই নতুন কমিশন গঠন করতে হবে রাষ্ট্রপতিকে। গেজেট প্রকাশ, সার্চ কমিটি গঠন, তাদের সুপারিশ জমাসহ বাকি সব কাজের জন্য হাতে থাকছে ১৫ দিন সময়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবিএনপি দেশদ্রোহী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত
পরবর্তী নিবন্ধপ্রথম তালিকায় ১ লাখ ১৮ হাজার ১৬৭ শিক্ষার্থী