ইসলামের মূল দর্শন প্রচারে কাজ করছে আনজুমান ট্রাস্ট ও গাউসিয়া কমিটি

জামেয়ায় জুমার নামাজ শেষে আল্লামা তাহের শাহ

আজাদী প্রতিবেদন | শনিবার , ২২ অক্টোবর, ২০২২ at ৫:৫৫ পূর্বাহ্ণ

নগরীর ষোলশহর জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া দায়েম নাজির জামে মসজিদ সংলগ্ন জুলুস মাঠে গতকাল ২১ অক্টোবর জুমার নামাজ পরবর্তী বায়াতের কার্যক্রম পরিচালনাকালে মুসল্লিদের উদ্দেশে আওলাদে রাসুল (দ.), রাহনুমায়ে শরিয়ত ও তরিকত, আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ (ম.জি.আ.) বলেন, সিলসিলায়ে আলিয়া কাদেরিয়া এটি শাহেনশাহে বাগদাদ গাউসুল আজম দস্তগীর আবদুল কাদের জিলানীর (রা.) প্রতিষ্ঠিত ত্বরিকা, যার ধারাবাহিক সম্পর্ক রাসুলে পাক সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম পর্যন্ত। এ ত্বরিকা ইসলামের মূল দর্শন আহলে সুন্নাতে ওয়াল জমাআতের আক্বীদাকে সংরক্ষণ করে। এর বাইরে কোনো বাতিলের সাথে সম্পর্কের সুযোগ নেই। যারা এ সিলসিলায় দাখিল হয়েছে তাদের দায়িত্ব হচ্ছে, নামাজসহ ইসলামের বিধানগুলো যথাযথ মেনে চলা, হজরাতেকেরামের ওয়াজিফা আদায় করা, আনজুমান, জামেয়া, গাউসিয়া কমিটির খেদমত করা। যেহেতু এ প্রতিষ্ঠানগুলো ইসলামের মূল আদর্শ প্রচারে কাজ করছে। মানবিক কার্যক্রম বিকাশে ভূমিকা রাখছে।

বায়াতের আগে জুমার নামাজের খুৎবায় আল্লামা পীর সৈয়্যদ মুহাম্মদ সাবির শাহ্‌ (ম.জি.আ.) বলেন, ইসলাম মানবজাতির জন্য একটি শাশ্বত জীবন বিধান। এর সর্বত্রই রয়েছে মানবতার কল্যাণ। এ কল্যাণের বাণী বিশ্ববাসীর কাছে পৌঁছাতেই আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর প্রিয় হাবীবকে রাহমাতুল্লিল আলামিন করে এ পৃথিবীতে প্রেরণ করেছেন। সাহাবায়েকেরাম, আহলে বায়তে রাসুল ও আউলিয়ায়ে কামেলিনগণ মহানবীর সেই আদর্শকে সর্বত্র ছড়িয়ে দিয়েছেন। যুগের প্রয়োজনে সিলসিলার ভাইদের জন্য বর্তমান হুজুর আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ তাহের শাহ দাওয়াতে খায়ের কর্মসূচি দিয়েছেন। আপনাদের সকলকে এ কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করতে হবে।

ইসলামের বিধান, নিয়ম কানুন তথা তরবিয়াত সম্পর্কে সাধারণ মুসলমানদের ধারণা দেয়ার জন্য এ কর্মসূচি উল্লেখ করে আল্লামা সাবির শাহ বলেন, গাউসিয়া কমিটিকে আরো বেশি তৎপর হতে হবে এ কর্মসূচি বাস্তবায়নে। নামাজে হুজুর কিবলাদ্বয়ের সাথে উপস্থিত ছিলেন, শাহজাদা আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ কাশিম শাহ (ম.জি.আ.), চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান সুফি মিজানুর রহমান, আনজুমান ট্রাস্টের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মহসিন, সেক্রেটারি জেনারেল মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, ভাইস প্রেসিডেন্ট এ. কিউ. আই চৌধুরী, এডিশনাল জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সমশুদ্দিন, জয়েন্ট জেনারেল সেক্রেটারি মোহাম্মদ সিরাজুল হক, এসিস্টেন্ট জেনারেল সেক্রেটারি এস.এম. গিয়াস উদ্দিন শাকের, ফাইন্যান্স সেক্রেটারি মোহাম্মদ এনামুল হক বাচ্চু, অর্গানাইজিং সেক্রেটারি মোহাম্মদ মাহবুবুল আলম, গাউসিয়া কমিটির চেয়ারম্যান পেয়ার মোহাম্মদ, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আনোয়ারুল হক, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল হামিদ, মহাসচিব মুহাম্মদ শাহাজাদ ইবনে দিদার, যুগ্ম মহাসচিব এড. মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার ও মাহবুবুল হক খান, চট্টগ্রাম মহানগর সভাপতি তছকির আহমদ, দক্ষিণ জেলা সভাপতি মোহাম্মদ কমরুদ্দিন সবুর, আনজুমান সদস্য মোহাম্মদ তৈয়বুর রহমান, লোকমান হাকিম মোঃ ইব্রাহীম, শেখ নাছির উদ্দিন আহমেদ, নূর মোহাম্মদ কন্ট্রাক্টর, মুহাম্মদ আবদুল হাই মাসুম, মোহাম্মদ হাসানুর রশীদ রিপন, মাওলানা মুহাম্মদ আবদুল্লাহ, এড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী, মাস্টার মুহাম্মদ হাবিবুল্লাহ প্রমুখ।

দায়েম নাজির জামে মসজিদের খতিব মাওলানা আবুল আসাদ জুবায়ের রিজভী, মাওলানা জসিম উদ্দিন আল আজহারী, মাওলানা কারী ইব্রাহিম জুমার নামাজের আগে বক্তব্য রাখেন। নামাজের পর চট্টগ্রামের বিভিন্ন উপজেলার হিন্দু ও বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বী চার জন লোক ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। এ সময় আল্লামা সৈয়দ মুহাম্মদ সাবির শাহ তাদের কলেমা পড়ান। পরে আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্‌ বাংলাদেশসহ মুসলিম উম্মার সুখ, শান্তি, সমৃদ্ধি কামনা করে দো’আ ও মুনাজাত করেন।

উল্লেখ্য, আগামী ২৪ অক্টোবর হুজুর কেবলা চট্টগ্রাম ত্যাগ করবেন এবং ২৫ অক্টোবর ঢাকা থেকে দুবাই হয়ে পাকিস্তানের সিরিকোট শরিফে চলে যাবেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রার্থীদের প্রচারণায় মুখর কর্ণফুলী
পরবর্তী নিবন্ধ৭৮৬