ইসলামের মানবিক দর্শন ও সূফিবাদি উদারনৈতিক ধারা প্রসারিত করার আহ্বান

আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীনের তাফসিরুল কোরআন মাহফিল

| রবিবার , ১২ জানুয়ারি, ২০২৫ at ৯:২৯ পূর্বাহ্ণ

আনজুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীনের আয়োজনে চট্টগ্রাম লালদীঘি ময়দানে দুইদিনব্যাপী তাফসিরুল কোরআন মাহফিলে গতকাল শনিবার শেষ দিনে বহু জনতার ঢল নামে। মাহফিলে ইসলামী স্কলার ও মুফাস্‌সিরগণ বলেছেন, এদেশসহ দুনিয়াজুড়ে ইসলাম এসেছে সুফি ওলী বুজুর্গদের মাধ্যমে। তারাই ইসলামের মানবিক দর্শন, ইসলামের সৌন্দর্য ও সঠিক রূপরেখা মানুষের সামনে পেশ করে আসছেন। অথচ এই ওলী বুজুর্গদের মাজারস্থাপনা আজ উগ্রবাদী গোষ্ঠীদের দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছে। এদেশে নবীওলী বিদ্বেষী তৎপরতা ও মাজারগুলোতে হামলা কিছুতেই সুন্নি সুফিবাদী জনতা সহ্য করবে না। বক্তারা ইসলামের মানবিক দর্শন ও সুফিবাদি উদার নৈতিক ধারা প্রসারিত করার আহ্বান জানান। মাহফিলের সমাপনী দিবসে সভাপতিত্ব করেন মাহফিল প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক আল্লামা সৈয়দ মছিহুদ্দৌলা। স্বাগত বক্তব্য রাখেন সদস্য সচিব মাওলানা সৈয়দ এয়ার মোহাম্মদ পেয়ারু। কুরআন মসজিদের বিষয় ভিত্তিক আলোচনা করেন প্রখ্যাত ইসলামিক স্কলার ও মুফাস্‌সিরে কেরাম। সূরা আলে ইমরানের কয়েকটি আয়াতের আলোকে জিহাদে ঈমানদার ও মুনাফিকের পরিচয় নিয়ে আলোচনা করেন আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত বাংলাদেশের চেয়ারম্যান আল্লামা কাজী মুঈন উদ্দিন আশরাফী। সূরা বাকারার ১০৪নং আয়াতের তাফসিরের আলোকে প্রকৃত মুমিনের আকিদার স্বরূপ বিশ্লেষণ নিয়ে আলোচনা করেন ঢাকা কাদেরিয়া তৈয়বিয়া আলিয়া মাদ্রাসার উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবুল কাশেম মুহাম্মদ ফজলুল হক। তিনি বলেন, আগে বিশুদ্ধ আক্বিদা, এরপরেই আমল। বিশুদ্ধ আক্বিদা ছাড়া সমস্ত আমল ইবাদত অগ্রহণযোগ্য। সূরা বনি ইসরাইলের ১নং আয়াতের উদ্ধৃতি দিয়ে তাফসির পেশকালে আল্লামা ওসমান গণি সালেহী বলেন, প্রিয় নবীর (.) মূল সত্তা হচ্ছে নূর। তাঁর মেরাজ তথা আল্লাহ পাকের সান্নিধ্য অর্জনকে বিশ্বাস করাই মুমিনের পরিচয়। সূরা ফাতেহার তাফসির করেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার ফকিহ আল্লামা মুফতি আবুল হাসান মুহাম্মদ ওমাইর রিজভি। তিনি বলেন, সূরা ফাতেহা হচ্ছে কুরআন মজিদের মূল ও প্রাণ। তা পাঠে অশেষ সওয়াব মেলে। সূরা ফাতিহার মধ্যে রয়েছে কুরআনের পরিপূর্ণ নির্যাস। সূরা মুমিনুনের ১১১নং আয়াতের আলোকে সফল মুমিন হওয়ার গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করেন রাউজান দারুল ইসলাম কামিল মাদ্রাসার মুহাদ্দিস আল্লামা আহমদুল্লাহ ফোরকান খান আলকাদেরী। তিনি বলেন, মহান আল্লাহ পাক ও প্রিয়নবীজীকে মানাই ঈমানদারের বৈশিষ্ট্য। সৎকর্ম করা, অনর্থক কথা পরিত্যাগ করা এবং লজ্জাস্থান হেফাজত করাই ঈমানদারের পরিচয় বহন করে। সূরা বাকারা ২৫১নং আয়াতের আলোকে আল্লাহর দয়া, অনুগ্রহের বর্ণনা ও জালিমের পরিণতি বিষয়ে আলোচনা করেন আল্লামা সৈয়দুল হক সাঈদ কাজেমী। আলোচক ছিলেন জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া আলিয়া মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষ আল্লামা মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ অছিয়র রহমান আলকাদেরী, আল্লামা হাফেজ সোলাইমান আনসারী, আন্তর্জাতিক বক্তা আল্লামা আবু সুফিয়ান আবেদী আলকাদেরী, জামেয়ার উপাধ্যক্ষ আল্লামা ড. লিয়াকত আলী, ছোবহানিয়া আলিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা মুহাম্মদ হারুনুর রশীদ, ছিপাতলী জামেয়া গাউছিয়া মুঈনীয়া কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আল্লামা আবুল ফরাহ মুহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন আলকাদেরী, নেছারিয়া আলিয়ার অধ্যক্ষ আল্লামা রফিক উদ্দিন ছিদ্দিকী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা জুলফিকার আলী চৌধুরী, আল্লামা মুফতি আহমদ হোসাইন আলকাদেরী, আল্লামা মুফতি ইবরাহিম হানফি, অধ্যক্ষ আল্লামা তৈয়ব আলী, উপাধ্যক্ষ আল্লামা আবদুল আজিজ আনোয়ারী, আল্লামা কাজী ছালেকুর রহমান আলকাদেরী। মাওলানা নুরুল্লাহ রায়হান খান ও মাওলানা এনাম রেজার সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন আঞ্জুমানে খোদ্দামুল মুসলেমীনের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ শাহাব উদ্দিন চৌধুরী, আঞ্জুমানের ট্রাস্টি সংগঠক মাওলানা স উ ম আব্দুস সামাদ, আঞ্জুমানের ট্রাস্টি সাংবাদিক স ম ইব্রাহীম, অধ্যক্ষ আল্লামা মুখতার আহমদ, এডভোকেট আবু নাছের তালুকদার, এম সোলায়মান ফরিদ, আল্লামা মুহাম্মদ আনোয়ার হোসেন, পীরে তরিকত আল্লামা গোলামুর রহমান আশরফ শাহ্‌, আল্লামা মুহাম্মদ গিয়াস উদ্দিন, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা কাজী ওবাইদুল হক হক্কানী, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মাওলানা সোলাইমান ফারুকী, অধ্যক্ষ আল্লামা খলিলুর রহমান নেজামী, অধ্যক্ষ আল্লামা বদিউল আলম রিজভি, অধ্যক্ষ আল্লামা মারেফাতুন নূর, আল্লামা আবুল কাশেম আনসারী, আল্লামা আশেকুর রহমান, অধ্যক্ষ আবু তালেব বেলাল, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, . আল্লামা ইসমাইল নোমানী, মাওলানা মুহাম্মদ সাইফু্‌দ্দীন কাদেরী, মুহাম্মদ দিদারুল আলম, শহীদুল হক মামুন, অধ্যাপক মাওলানা কাজী মুহাম্মদ ইউনুছ রিজভী, মাওলানা আমান উল্লাহ আমান সমরকন্দি, এম মহিউদ্দিন চৌধুরী, মাওলানা আবু তৈয়ব সিরাজী, মাওলানা রেজাউল করিম তালুকদার, মুহাম্মদ আব্দুর রহিম, মাওলানা ইয়াছিন হোসাইন হায়দরী, অধ্যাপক মীর মুহাম্মদ আব্দুর রহিম মুনিরী, মাস্টার মুহাম্মদ আবুল হোসাইন, সাংবাদিক ইয়াছিন রানা সোহেল, মাওলানা ইকবাল হোসাইন আলকাদেরী, ইঞ্জিনিয়ার নুর হোসেন, অধ্যাপক এমরানুল ইসলাম, মাওলানা করিম উদ্দিন নুরী, মুহাম্মদ আলী হোসাইন, এডভোকেট ফরিদুল ইসলাম, আবু নাছের মুহাম্মদ তৈয়ব আলী, মুহাম্মদ এনামুল হক ছিদ্দিকী, মাওলানা আ ন ম জিয়াউল হক, মুহাম্মদ ফজলুল করিম তালুকদার, এম মহিউল আলম চৌধুরী, মাওলানা এম এ মুস্তফা হেজাজী, নাছির উদ্দিন মাহমুদ, আ ব ম খোরশিদ আলম খান, মাওলানা গিয়াস উদ্দিন নেজামী, সৈয়দ মুহাম্মদ আবু আজম, মাওলানা ফেরদৌস আলম খান আলকাদেরী, মাওলানা আবুল মনসুর, এইচ এম শহীদুল্লাহ, মাওলানা আব্দুন নবী আলকাদেরী, কাজী মুহাম্মদ শাহজাহান, অধ্যাপক জামাল উদ্দিন, আলমগীর ইসলাম বঈদী, ইব্রাহিম খলিল, আজিম উদ্দিন আহমেদ জনি, মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, হাবিবুল মোস্তফা ছিদ্দিকী, আব্দুল করিম সেলিম, জামাল উদ্দিন, মুহাম্মদ নুর রায়হান চৌধুরী প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধস্থানীয় সরকার ভোট এখন করা যায় : নাগরিক কমিটি
পরবর্তী নিবন্ধবিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য অতীতে অনেক ষড়যন্ত্র হয়েছে