ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেড এর চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী চট্টগ্রাম মহানগরী, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ও চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা নেতৃবৃন্দ। যৌথ বিবৃতিতে তারা বলেন, সমপ্রতি ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের পক্ষ থেকে বিপুল সংখ্যক কর্মকর্তা–কর্মচারীকে চাকরিচ্যুত ও ওএসডি করার খবর গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এ ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। পরিস্থিতিতে চট্টগ্রামের হাজার হাজার পরিবার উদ্বিগ্ন এবং উৎকণ্ঠার মধ্যে সময় অতিবাহিত করছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, নেতৃবৃন্দ মনে করেন– হঠাৎ করে হাজারো কর্মকর্তা–কর্মচারীকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়ার সিদ্ধান্ত তাদের জীবন–জীবিকা ও পরিবার–পরিজনের জন্য ভয়াবহ সংকট তৈরি করবে। এ ধরনের পদক্ষেপ দেশের অর্থনীতি ও ব্যাংকিং খাতের স্থিতিশীলতার জন্যও হুমকি স্বরূপ। তাই আমরা ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাই মানবিক ও যৌক্তিক দৃষ্টিভঙ্গি গ্রহণ করে আইনানুগ প্রক্রিয়ায় বর্তমান সৃষ্ট অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতির অবসান করা।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা লক্ষ্য করছি, একটি চক্র নানা সময় ইসলামী ব্যাংককে বিতর্কিত করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। ষড়যন্ত্রমূলক অপপ্রচারের মাধ্যমে ব্যাংকটির ভাবমর্যদা ক্ষুণ্ণ করার এই তৎপরতার আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আমরা আশা করি, ব্যাংকের গ্রাহকরা যেন কোনোভাবেই ভোগান্তির শিকার না হন এবং দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে ইসলামী ব্যাংক তার স্থিতিশীলতা ও সেবার মান বজায় রাখবে।
বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী পুনরায় জোর দিয়ে বলছে দেশের আর্থ–সামাজিক স্বার্থ ও হাজারো কর্মকর্তা–কর্মচারীর জীবন–জীবিকার বিষয়কে সর্বোচ্চ বিবেচনায় নিয়ে কেউ যাতে অন্যায়ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় ইসলামী ব্যাংক কর্তৃপক্ষকে দ্রুত জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণ করার জন্য নেতৃবৃন্দ উদাত্ত আহবান জানান।
বিবৃতিদাতারা হলেন– জামায়াতে ইসলামীর চট্টগ্রাম মহানগরীর ভারপ্রাপ্ত আমীর মুহাম্মদ নজরুল ইসলাম, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা আমীর আনোয়ারুল আলম চৌধুরী, উত্তর জেলা আমীর আলাউদ্দিন সিকদার, চট্টগ্রাম মহানগরী সেক্রেটারি অধ্যক্ষ নুরুল আমিন, চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা সেক্রেটারি অধ্যক্ষ মাওলানা বদরুল হক, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা সেক্রেটারি আব্দুল জব্বার।