চট্টগ্রাম–৮ আসন উপ–নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেছেন বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের মহাসচিব ও প্রার্থী (মোমবাতি) অধ্যক্ষ আল্লামা স.উ.ম আবদুস সামাদ। গতকাল সোমবার দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে ইশতেহার ঘোষণা করেন তিনি। ইশতেহারের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়– ‘সর্বজনীন উন্নয়ন–কল্যাণ ও ন্যায়–নীতিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের দৃঢ় প্রত্যয়’।
ইশতেহার ঘোষণার সময় সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ইসলামী ফ্রন্ট প্রার্থী সামাদ বলেন, আমরা মনে করছি এ উপনির্বাচন সরকারের সর্বশেষ নির্বাচন। আমরা অবাধ, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচনে সরকারের সদিচ্ছার প্রমাণ দেখতে চাই। আমরা দুঃখের সাথে পরিলক্ষিত করতেছি যে, নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়ার ক্ষেত্রে সমূহ আশঙ্কা রয়েছে। পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য সাংবাদিকদের মোটর সাইকেল ব্যবহারের জন্য অনুমতি দেয়া হচ্ছে না। আমরা নির্বাচনে সংবাদ সংগ্রহের জন্য কার্ডধারী সাংবাদিকদের মোটরসাইকেল ব্যবহারের সুযোগ দানের দাবি জানাচ্ছি। প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকরা যদি মোটর সাইকেল ব্যবহার করতে না পারে তাহলে নির্বাচনী নিউজ বা তথ্য সংগ্রহ করবেন কিভাবে? আমরা গাইবান্ধা–৫ উপ–নির্বাচনের মতো চট্টগ্রাম–৮ উপ–নির্বাচনের প্রতিটি কেন্দ্রে সিসি টিভি ক্যামেরা স্থাপন করার জন্য বারবার নির্বাচন কমিশনকে দাবি জানিয়েছি। আমরা বাংলাদেশ ইসলামী ফ্রন্টের পক্ষ থেকে চট্টগ্রাম–৮ (বোয়ালখালী–চান্দগাঁও–পাঁচলাইশ–বায়েজিদ আংশিক) আসনের সর্বজনীন উন্নয়ন–কল্যাণ ও ন্যায়–নীতিভিত্তিক সমাজ ব্যবস্থা কায়েমের দৃঢ় প্রত্যয়ে–১২ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করছি।
১২ দফা হলো– কালুরঘাট সেতু নির্মাণ কাজ অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বাস্তবায়নে চেষ্টা করা, বোয়ালখালী উপজেলা হাসপাতালকে ১০০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা, চট্টগ্রাম–৮ আসনের মহানগরীর অংশে জলাবদ্ধতা নিরসনে গৃহীত মাস্টারপ্ল্যান বাস্তবায়নে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষগুলোর সাথে সমন্বয় করে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা, চট্টগ্রাম শহরের প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা এবং সরকারি খাসজমিতে খেলার মাঠ তৈরিতে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া, অসহায়, এতিম ও পথশিশুদের জন্য আবাসিক স্কুল প্রতিষ্ঠাসহ বোয়ালখালীতে বিশেষায়িত ১টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট গড়ে তোলা, কালুরঘাট সেতু থেকে রাঙ্গুনিয়া পর্যন্ত নদীর ধারে ধারে পর্যটন ও শিশু বিকাশ কেন্দ্র গড়ে তোলা।