ইসলামী আদর্শ বিস্তারে আল্লামা জালাল উদ্দীন আলকাদেরী (রাহ্‌.)

মাওলানা মুহাম্মদ জহুরুল আনোয়ার | শুক্রবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২১ at ৭:৫৩ পূর্বাহ্ণ

খতিবে বাঙাল ফকিহে আহলে সুন্নাত উস্তাদুল উলামা অধ্যক্ষ হযরত আল্লামা মুহাম্মদ জালাল উদ্দীন আলকাদেরী (রাহ্‌.) দ্বীন ইসলামের আদর্শ মুবাল্লিগ ছিলেন। তাঁর স্বভাবসুলভ প্রাঞ্জল ভাষায় কুরআন-সুন্নাহ্‌র সুন্দর উপস্থাপনায় অনুপ্রাণিত হয়ে দেশে-বিদেশে অনেক মানুষ ইসলাম গ্রহণ করেন। বহু মুসলমান হানাফী মাযহাব ও সুন্নী আকীদাহ্‌র অনুসারী হন। অনেকে আ’লা হযরত আযীমুল বারাকাত মুজাদ্দিদে দ্বীন ও মিল্লাত আল্লামা শাহ্‌ আহমাদ রেযা খান (রাহ্‌.)-এর মাসলাক এবং গাউসে যামান হযরত আল্লামা শাহ্‌ সূফী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রাহ্‌.) ও হযরত আল্লামা সৈয়্যদ মুহাম্মদ তাহের শাহ্‌ (মাদ্দাযিল্লুহুল আলী)-এর নিকট বায়আত লাভ করে সিলসিলাহ্‌-এ আলিয়াহ্‌ কাদেরিয়ায় দাখিল হন।
তিনি চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল, আলিম ও ফাযিল স্তরের শিক্ষা লাভ করেন। চট্টগ্রাম দারুল উলূম কামিল মাদ্রাসা থেকে কামিল হাদীস এবং দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছারছিনা দারুস সুন্নাহ্‌ কামিল মাদ্রাসা থেকে কৃতিত্বের সাথে কামিল ফিক্বহ্‌ সম্পন্ন করেন।
কর্মজীবনে তিনি ১৯৭১ সালের ৭ জুন থেকে ১৯৮০ সালের ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত চট্টগ্রাম জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসায় মুহাদ্দিস এবং ১৯৮০ সালের ১ মে থেকে ২০১৩ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত অধ্যক্ষ ছিলেন। মুহাদ্দিস থাকাকালে তাঁর হাদীস শরীফের আকর্ষণীয় পাঠদানে ছাত্ররা অনুপ্রাণীত হত। অধ্যক্ষের দায়িত্ব পালনকালে এ মাদ্রাসা দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। তিনিও জাতীয় পর্যায়ে ‘শ্রেষ্ঠ অধ্যক্ষ’ মনোনীত হয়ে ২০০১ সালে প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক ‘স্বর্ণপদক’ এবং ২০০৪ সালে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক ‘জাতীয় পদক’ সম্মাননা লাভ করেন।
তিনি মুসলিম নারীদের ইসলামী শিক্ষা অর্জন ও সুন্নী আকীদাহ্‌ সম্পর্কে জ্ঞান লাভের লক্ষ্যে আনজুমান ট্রাস্ট-এর ব্যবস্থাপনায় জামেয়ার পাশে মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠায় ভূমিকা রাখেন। তাঁর আন্তরিক সহযোগিতায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া মহিলা মাদ্রাসাটি ফাযিল স্তরে উন্নীত হয়।
আনজুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষের উদ্বুদ্ধকরণ ও তাঁর অনুপ্রেরণায় রাঙ্গুনিয়ার বিশিষ্ট দানবীর মুহাম্মদ আবু জাফর তাঁর ফাউণ্ডেশনের অর্থায়নে চন্দ্রঘোনা মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া অদুদিয়া সুন্নিয়া ফাযিল সংলগ্ন জায়গায় মহিলা মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করেন। মাদ্রাসার একাডেমিক কার্যক্রম চালু করার জন্য তাঁর প্রস্তাবনায় আনজুমান ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ আমাকে জামেয়া থেকে ডেপুটেশনে এ মাদ্রাসার সুপারিনটেনডেন্ট নিযুক্ত করেছিলেন। আমার দায়িত্ব পালন মেয়াদকালে চট্টগ্রাম ও পার্বত্য জেলার সীমান্ত এলাকায় ‘তৈয়্যবিয়া তাহেরিয়া নূরুল হক জরিনা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা’টি ইসলামী নারী শিক্ষা বিস্তারে আদর্শ প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়। আনজুমান ট্রাস্ট পরিচালনাধীন অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর উন্নয়ন এবং সমপ্রসারণেও তাঁর আন্তরিক সহযোগিতা ছিল।
২০০৮ সালে বাংলাদেশ মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের সদস্য থাকাকালে মাদ্রাসা শিক্ষার আধুনিকায়ন ও সংস্কার সাধনে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদাররেসীন কেন্দ্রিয় পরিষদের সহ-সভাপতির দায়িত্ব পালনকালে মাদ্রাসা শিক্ষকদের এমপিও শতভাগে উন্নীতকরণ, মাদ্রাসা শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ ও ইসলামী ‘আরবী বিশ্ববিদ্যালয়’ প্রতিষ্ঠায় উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখেন।
তিনি ১৯৮৮ সালের অক্টোবরে গঠিত ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত বাংলাদেশ’-এ প্রথম মহাসচিব মনোনীত হন। দায়িত্বপ্রাপ্তির পর থেকে ইন্তিকালপূর্ব পর্যন্ত তিনি সুন্নী আকীদাহ্‌ পোষণকারী হক্কানী উলামা-মাশায়িখের ঐক্য ও সংহতি জোরদার করে সুন্নী আকীদাহ্‌ ও এর আদর্শ বিস্তারে ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। তিনি বিভিন্ন সময়ে পাকিস্তান, ভারত, মায়ানমার, সাউদী আরব, কাতার, বাহ্‌রাইন, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত, ইরাক, ‘ওমান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে ইসলামের আদর্শ বিস্তার, হানাফী মাযহাব, সুন্নী ‘আকীদাহ্‌ ও কাদেরিয়াহ্‌ তরীকাহ্‌র প্রচার-প্রসার কাজে বহুবার দাওয়াতী সফর করেন। সবশেষে ২০১৬ সালে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে ইসলামপ্রিয় সংগঠকদের নিয়ে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত’ ইউএসএ শাখা গঠন করেন। তিনি এ শাখার প্রতিষ্ঠাতা-চেয়ারম্যান ছিলেন।
আনজুমান ট্রাস্ট-এর সহযোগী সংগঠন ‘গাউসিয়া কমিটি বাংলাদেশ’ গঠন করা হলে এর সমপ্রসারণে তিনি যুগপৎ ভূমিকা রাখেন।
আন্‌জুুমান ট্রাস্টের প্রকাশনা ‘মাসিক তরজুমান’-এর সম্পাদক নিযুক্ত হয়ে তিনি ইসলামী সাহিত্যে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত-এর ‘আকীদাহ্‌ ও আদর্শ বিস্তারে অসাধারণ ভূমিকা রাখেন। ‘মুক্তির দিশারী’ সাহিত্য মুখপত্রে নিয়মিত ‘দারসে কুরআন’ ও বিভিন্ন সাময়িকীতে তাঁর বহু প্রবন্ধ এবং সমসাময়িক পরিস্থিতির উপর দৈনিক পত্রিকায় তাঁর অনেক সাক্ষাৎকার প্রকাশিত হয়। ১৯৯১ সালে তাঁর রচিত ‘দারসে কুরআনে কারীম’ প্রকাশিত হয়। পরে ১৯৯৩, ১৯৯৯ ও ২০০১ সালে তা পুনমুদ্রিত হয়। ২০১৭ সালে সূফী মিজান ফাউণ্ডেশন কর্তৃক প্রকাশিত ‘রূহুল কুরআন’-এর সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর রচিত ও উপস্থাপিত কুরআন-সুন্নাহ্‌র আলোকে সময়োপযোগী জুমার খুৎবাহ্‌গুলো গ্রন্থাকারে প্রকাশের কাজ চলছে। ৭০ এর দশকে তিনি চট্টগ্রাম শহরের বাণিজ্য কেন্দ্র খাতুনগঞ্জের ঐতিহ্যবাহী হামীদুল্লাহ্‌ খাঁ জামে মসজিদের খতিব নিযুক্ত হন। ১৯৮৭ সালে চট্টগ্রাম জমিয়াতুল ফালাহ্‌ জাতীয় মসজিদের খতিব নিযুক্ত হওয়ার পর থেকে ইন্তিকালপূর্ব পর্যন্ত জুমার খুৎবাহ্‌ উপস্থাপন কালে তাকরীরে নিয়মিত ইসলামের শাশ্বত আদর্শ, হানাফী মাযহাবের মাসয়ালা, সুন্নী আকীদাহ্‌ ও দর্শন উপস্থাপন করতেন। ফলে মুসল্লীরা ইসলামী চেতনায় জাগ্রত হতেন এবং সুন্নী আকীদাহ্‌ ও হানাফী মাযহাবের আমলে অনুপ্রাণিত হতেন।
মুসলিম সমাজবাসীকে হিজরী নববর্ষের গুরুত্বে উজ্জীবিতকরণ, ঐতিহাসিক কারবালার ত্যাগ-শিক্ষা ও আশুরাহ্‌র তাৎপর্যে উদ্বুদ্ধকরণের লক্ষ্যে ১৯৮৭ সালে তিনি চট্টগ্রাম জমিয়তুল ফালাহ্‌ কমপ্লেক্সকে কেন্দ্র করে ‘শাহাদাত-এ কারবালা মাহফিল’ প্রতিষ্ঠা করেন। তখন থেকে প্রতি বছর পহেলা মুহাররাম থেকে ১০ মুহাররাম পর্যন্ত দশ দিন ব্যাপী মাহ্‌ফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে। মাহ্‌ফিল পরিচালনা পর্ষদের ব্যবস্থাপনায় এতে পাকিস্তান, ভারত, ইরাক ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশের খ্যাতনামা উলামা-মাশায়িখ এবং এ দেশের প্রসিদ্ধ আলেমে দ্বীন, বিভিন্ন দরবারের সাজ্জাদানশীন, ইসলামী গবেষক, চিন্তাবিদ আলোচকরা বিষয়ভিত্তিক তাকরীর ও আলোচনা করেন। এতে মানুষ ঐতিহাসিক কারবালার হৃদয় বিদারক মর্মান্তিক ঘটনা সম্পর্কে অবহিত হয়। আহলে বায়তে রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের তা’লীম পায়। যা পর্যায়ক্রমে আন্তর্জাতিক পরিসরে সম্প্রসারিত হয়। তাঁর ইন্তিকাল পরবর্তীও পিএইচপি ফ্যামিলির চেয়ারম্যান দেশের খ্যাতনামা শিল্পপতি সূফী মোহাম্মদ মিজানুর রহমানের পৃষ্ঠপোষকতায় ও মাহফিল পরিচালনা পর্ষদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনায় গুরুত্ব সহকারে এ মাহ্‌ফিল অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
তিনি ২০১০ সালে জাতীয় খতিব কাউন্সিল-এর আহ্বায়ক থাকাকালে দেশের সুন্নী আকীদাহ্‌ পোষণকারী খতিব ও ইমামদের সুসংগঠিত করেছিলেন।
২০১৪-২০১৬ সাল পর্যন্ত ধর্ম মন্ত্রণালয় পরিচালিত ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ-এর গভর্নর পদে থাকাকালে ফাউন্ডেশনে সুন্নী আকীদাহ্‌র আবহ তৈরিতে তিনি ব্যাপক ভূমিকা রাখেন। ২০১৫ সালে বায়তুল মোকাররাম জাতীয় মসজিদের অস্থায়ী খতিবের দায়িত্ব পালনকালে সেখানে ঈদে মীলাদুন্নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম উদ্‌যাপনের ব্যবস্থা জারি করেন। জাতীয় ঈদগাহে ঈদুল ফিতর-এর ইমামত ও খেতাবত শেষে মুনাজাতের পূর্বে মহামান্য রাষ্ট্রপতির উপস্থিতিতে রাসূলুল্লাহ্‌ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম-এর প্রতি কিয়ামের মাধ্যমে সালাতু সালাম পেশ করেন।
তিনি জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার উত্তীর্ণ ছাত্রদের যোগ্যতার ভিত্তিতে জামেয়া এবং আনজুমান ট্রাস্ট পরিচালনাধীন অন্যান্য মাদ্রাসা ও বিভিন্ন দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে প্রিন্সিপ্যাল, ভাইস প্রিন্সিপ্যাল, মুহাদ্দিস, ফকীহ্‌, মুদাররিস, সুপারিনটেন্ডেন্ট, ইসলামিক ফাউন্ডেশন ও সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন দফতরে চাকরী এবং শহর-মফস্বলের বিভিন্ন জামে মসজিদে পেশ ইমাম ও খতিব নিয়োগে প্রত্যক্ষ-পরোক্ষ ভূমিকা রাখেন।
তিনি বিপদ-আপদ ও প্রতিকূল অবস্থায় ধৈর্যধারণ করতেন এবং দূরদর্শিতার সাথে পরিস্থিতি অনুকূলে আনতেন। তিনি প্রতিশোধপরায়ণ ছিলেন না। তাঁর ভালোবাসা ছিল আল্লাহ্‌র ওয়াস্তে এবং বিরোধিতাও ছিল আল্লাহ্‌র সন্তুষ্টি অর্জনের উদ্দেশ্যে। তিনি সর্বদা ঈমান, ‘আকীদাহ্‌ এবং মাযহাবে ইস্তিকামত ও আমলে দৃঢ় ও আপোষহীন ছিলেন। তবে জাতিগত বিবাদ-বিসম্বাদকালে মুসলিম উম্মাহ্‌র ঐক্য ও সংহতি রক্ষায় সজাগ ছিলেন। মুসলমানদের পারস্পরিক সামাজিক দূরত্ব ও অভ্যন্তরীণ ঝগড়া-বিবাদ দীর্ঘায়িত হলে যে মুসলিমবিদ্বেষীদের লাভ, তা তিনি উপলব্ধি করতেন। তিনি সর্বদা মুসলিম মিল্লাতের ঐক্য এবং সুন্নী আকীদাহ্‌র উলামা-মাশায়িখের পারস্পরিক সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্ক সৃষ্টিতে আন্তরিক ছিলেন।
তিনি উপস্থিত-অনুপস্থিতে প্রতিপক্ষকে সম্মান দিয়ে কুরআন-সুন্নাহ্‌র আলোকে তথ্যনির্ভর দলিল দ্বারা বাস্তবোচিত যুক্তিনির্ভর আলোচনা করতেন। ওয়ায-নসীহত, সভা-সমাবেশ, সেমিনার-সিম্পোজিয়াম, পেপার-জার্নাল ও মিডিয়ায় মুসলিমবিদ্বেষ ও ইসলামবিরোধী এবং সুন্নী আকীদাহ্‌ পরিপন্থীদের অপপ্রচার ও অপব্যাখ্যা খণ্ডনে কুরআন-সুন্নাহ্‌র আলোকে যৌক্তিক ও বাস্তবোচিত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ তুলে ধরতেন। এতে মানুষ ইসলামের ব্যাপকতা, সার্বজনীনতা, মানবিকতা, উদারতা ও স্বকীয়তা সম্পর্কে অবহিত হতেন। হানাফী মাযহাব, সুন্নী আকীদাহ্‌ ও কাদেরিয়াহ্‌ তরীকাহ্‌ সম্পর্কে জ্ঞাত হতেন। তাঁর সম্মোহনী ব্যক্তিত্ব ও বলিষ্ঠ যৌক্তিক আলোচনায় শ্রোতারা আপ্লুত হতেন। জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিনি ইসলামী আদর্শ বিস্তারে ভূমিকা রাখেন।
তিনি ছাত্রাবস্থায় জামেয়া আহমদিয়া সুন্নিয়া কামিল মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা আল্লামা শাহ্‌ সূফী সৈয়্যদ আহমদ সিরিকোটি (রাহ্‌.)-এর ফায়িয ও বারাকাত লাভ করেন। শিক্ষকতা কালে আল্লামা শাহ্‌ সূফী সৈয়্যদ মুহাম্মদ তৈয়্যব শাহ্‌ (রাহ্‌.)-এর নিকট বায়আত লাভ করেন। তরীকতে মুর্শিদে বারহাকের সন্তুষ্টি অর্জন করেন। সিলসিলাহ্‌র মাহ্‌ফিলে হুযূর কিবলাহ্‌ (রাহ্‌.) ও দরবারের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি সর্বদা পরিচ্ছন্ন, হাস্যোজ্জ্বল, সদালাপী, মিষ্টভাষী, পরোপকারী ও পরহেযগার ছিলেন।
২০১৬ সালের ২৬ নভেম্বর তিনি ঢাকায় আ’লা হযরত কন্‌ফারেন্সে সভাপতির আসন অলংকৃত করেন। মাহ্‌ফিলে হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাবস্থায় তিনি ইন্তিকাল করেন।
লেখক : ইসলামী সাহিত্যিক ও মানবাধিকার গবেষক।

পূর্ববর্তী নিবন্ধজুম্‌’আর খুতবা
পরবর্তী নিবন্ধপ্রেমে বিশ্বাসী সুস্মিতা, বিয়ে লক্ষ্য নয়