চট্টগ্রাম–৮ উপ–নির্বাচনে জনগণ যাতে ভোট কেন্দ্রে গিয়ে নিজের পছন্দ প্রার্থীকে ভোট দিতে পারে, সেটা নির্বাচন কমিশনকে নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন ইসলামিক ফ্রন্টের প্রার্থী অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীন। একই সাথে ভোট কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) উদ্যোগ গ্রহণের আহ্বানও জানান। তিনি বলেন, শতভাগ সুষ্ঠু নির্বাচন হওয়ার যে আশ্বাস দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন আমরা সেই আশ্বাসের প্রতিফলন দেখতে চাই ২৭ এপ্রিলের নির্বাচনে।
গতকাল বুধবার দুপুরে নগরীর চেরাগী পাহাড়স্থ ইসলামিক ফ্রন্ট বাংলাদেশ চট্টগ্রাম মহানগর অফিসে চেয়ার প্রতীকের প্রার্থী অধ্যক্ষ সৈয়দ মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দীনের ১৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে এই আহ্বান জানান।
চট্টগ্রাম–৮ আসনের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মুহাম্মদ কফিল রানার সঞ্চালনায় ইশতেহার পাঠ করেন নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য সচিব এ এস এম কাউছার। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ইসলামিক ফ্রট বাংলাদেশের ভাইস চেয়ারম্যান কাজী মো. জসিম উদ্দিন, কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ এম ইব্রাহিম আখতারী, কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সভাপতি স ম হামেদ হোসাইন, ছৈয়দ হাফেজ আহম্মেদ, শাহেদ আলী, আলহাজ্ব ওয়াহেদ মুরাদ, ওয়াহেদ মুরাদ, আনিসুর রহমান, শাহেদুল আলম মুন্না, কাজী আহসানুল আলম ও আহমদ রেজা।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে ফরিদ উদ্দিন বলেন, আমরা নির্বাচন কমিশনকে জানিয়েছি জনগণ ভোট দিতে চায়, জনগণ যাতে ভোট দিতে পারে, সেটার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে। এখনো পর্যন্ত নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করা সকল প্রাথীদের সুহৃদ সর্ম্পক রয়েছে। কিন্তু কিছু বিছিন্ন ঘটনা ঘটছে। আমাদের ব্যানার চুরি ও পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা হচ্ছে। কে বা কারা এই কাজ করছে আমাদের জানা নেই। নির্বাচন অফিসে মৌখিকভাবে জানিয়েছি। নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করেছি, নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত আমরা থাকব।
১৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার গুলো হলো– অগ্রাধিকার ভিত্তিতে কালুরঘাট সেতু নির্মাণে সরকারি উদ্যোগ দ্রুত বাস্তবায়নে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে এবং নতুন সেতু নির্মিত না হওয়া পর্যন্ত নিয়মিত বিদ্যমান কালুরঘাট সেতু সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কর্ণফুলী নদীর স্বাভাবিক নাব্যতা রক্ষা, অবৈধ দখল উচ্ছেদ ও পানি দূষণের হাত থেকে কর্ণফুলীকে রক্ষায় কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। গ্রামে এবং শহরের সমন্বিত উন্নয়নের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে। চট্টগ্রাম–৮ এলাকায় চলাচলের অনুপযোগী সেতু–কালভার্ট ইত্যাদি দ্রুত মেরামত এবং পুনঃনির্মাণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও চলাচলের অনুপযোগী রাস্তা–ঘাট দ্রুত মেরামত করার উদ্যোগ নেয়া হবে। নগরের চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, বায়েজিদ ও বোয়ালখালীর সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার পরিবেশ উন্নত করাসহ এলাকায় কমপক্ষে ২০টি প্রাথমিক ও উচ্চ বিদ্যালয়কে সরকারি করণের উদ্যোগ নেয়া হবে। চট্টগ্রাম–৮ নির্বাচনী এলাকায় প্রতি ওয়ার্ড ও ইউনিয়নে ১টি করে মসজিদকে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের আওতায় এনে পরিচালনার ব্যবস্থা নেওয়াসহ ১৩ দফা নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করা হয়।