পৃথক দুটি গুলির ঘটনায় ইসরায়েলে ছয় আরব নাগরিক নিহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ। দেশটির আরব সংখ্যালঘুদের লক্ষ্য করে এই হামলা চালানো হয়। ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) নাজারেথের উত্তর–পশ্চিমে বাসমত তাবুন শহরে প্রকাশ্য দিবালোকে একই পরিবারের তিন পুরুষ ও দুই নারীকে গুলি করে হত্যা করা হয়। খবর বাংলানিউজের।
এর আগে বুধবারে মুখোশধারী বন্দুকধারীরা অতর্কিত হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের আরেক আরব নাগরিককে হত্যা করে। নিহত ব্যক্তি নিকটবর্তী উপকূলীয় শহর হাইফাতে কাজ করতে যাচ্ছিলেন। খবর আল–জাজিরার। পুলিশ জানিয়েছে, তারা তদন্ত করে দেখছে যে দুটি ঘটনার মধ্যে কোনো সম্পর্ক রয়েছে কিনা।
হাইফার পাশের শহর আল–হালিসায় বুধবার প্রথম হত্যাকাণ্ড ঘটে। এই ঘটনার পর কর্তৃপক্ষ সব স্কুল বন্ধ করে দেয় এবং শিক্ষার্থীদের একদিন বাড়ি থেকে পড়াশোনা করতে বলে। ইসরায়েলে আরব জনগোষ্ঠীর নির্বাচিত প্রতিনিধিরা সরকার ও পুলিশের বিরুদ্ধে ইচ্ছাকৃতভাবে আরব সমপ্রদায়কে অবহেলা করার এবং অপরাধীদের দায়মুক্তি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। ইসরায়েলের আরব জনগোষ্ঠী দীর্ঘদিন ধরে বলছে যে তাদের শহর ও আশেপাশের এলাকায় ইচ্ছাকৃত ভাবে পুলিশি টহল কমানো হয়েছে। ফলে অপরাধী ও মাদক ব্যবসায়ীরা এসব জায়গায় অবাধে বিচরণ করছে। তবে ইসরায়েল পুলিশের মুখপাত্র এলি লেভি ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, পুলিশ হিসেবে আমরা খুনিদের ধরতে সবকিছু করব। উল্লেখ্য, চলতি বছরের শুরু থেকে সেপ্টেম্বর মাস পর্যন্ত ইসরায়েলে ১৮০ জনেরও বেশি আরব নাগরিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। বিগত সাত বছরের মধ্যে এটি সর্বোচ্চ।