ইসরায়েলের বিমান হামলায় ১০ সন্তানের মধ্যে একসঙ্গে ৯ সন্তানকেই হারিয়েছেন গাজার এক চিকিৎসক। দক্ষিণ গাজার খান ইউনিস শহরের নাসের হাসপাতালে কাজ করা চিকিৎসক আলা–আল–নাজ্জারের পরিবারে ঘটেছে এমন ঘটনা। হাসপাতালের ডিউটিতে থাকার কারণে তিনি বেঁচে যান। হামলার দিন গত শুক্রবার তিনি হাসপাতালে ছিলেন। সে সময়ই বাড়িতে বিমান হামলার খবর পান নাজ্জার। ছোট শিশুদের দেহ নিয়ে আসা হয়েছিল নাসের হাসপাতালেই। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল শনিবার এক বিবৃতি প্রকাশ করে ইসরায়েলি বাহিনী জানায়, গাজায় ১০০টিরও বেশি নিশানায় তারা আঘাত হেনেছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবে, শুক্রবার দুপুর থেকে শনিবার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় অন্তত ৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।
বিবিসি জানায়, আলা আল–নাজ্জারের স্বামী তাকে হাসপাতালের কাজে নামিয়ে দিয়ে বাড়ি ফিরে যাওয়ার পরই ইসরায়েলের বোমা হামলা হয়। ১০ সন্তান নিয়ে বাড়িতে থাকার সময়ই এই হামলায় ধ্বংস হয়ে যায় বাড়ি। ১০ সন্তানের মধ্যে ৯ জনই মারা যায়। মৃত সন্তানদের সবারই বয়স ৬–১২ বছরের মধ্যে। খান ইউনিস শহরের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, চিকিৎসক নাজ্জারের স্বামী এবং ১১ বছর বয়সী এক সন্তানকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। শিশুটির চিকিৎসা চলছে। আর শিশুর বাবা গুরুতর জখম হয়েছেন। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামলা চালিয়ে ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ১ হাজার ২০০ জনকে হত্যা ও আড়াইশ জনকে জিম্মি করার পর তেল আবিব গাজায় সর্বাত্মক যুদ্ধে নামে। এরপর থেকে এ পর্যন্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে ইসরায়েলি হামলায় ৫৩ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ।