ইসকনের ব্যানারে সাইফুলকে হত্যা করেছে আ. লীগের লোকজন

জোনায়েদ সাকির অভিযোগ

| শনিবার , ৩০ নভেম্বর, ২০২৪ at ৭:১৪ পূর্বাহ্ণ

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেছেন, চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফকে পরিকল্পিতভাবে ইসকনের ব্যানারে আওয়ামী লীগের গুণ্ডারা ও ইসকনের লোকজন হত্যা করেছে। ইসকনের ব্যানারে হত্যা করা হয়েছে, যাতে হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর দায় চাপে এবং মুসলিমরা ক্ষেপে হামলা করে। যাতে এর ছবি তারা আমেরিকায় পাঠিয়ে দিতে পারে।

গতকাল শুক্রবার চট্টগ্রাম জেলা গণসংহতি আন্দোলন আয়োজিত চট্টগ্রাম নগরীর সিআরবির শিরীষতলায় এক গণসংলাপ অনুষ্ঠানে জোনায়েদ সাকি এ মন্তব্য করেন। রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক রূপান্তর ও নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্ত প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে এ গণসংলাপের আয়োজন করা হয়। খবর বাসসের।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আমরা দেখলাম রয়টার্সের মতো সংবাদমাধ্যমে সংবাদ ছাপা হয়েছে যে, চিন্ময় দাসের উকিলকে হত্যা করা হয়েছে। এ হচ্ছে তাদের পরিকল্পনা। বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে পশ্চিমা দেশের কাছে এমনভাবে হাজির করার চেষ্টা করা হচ্ছে যে, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও অন্যান্য জাতিগোষ্ঠী এখানে নিরাপদ নয়।

তিনি বলেন, যারা হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলা করবে তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর। আপনারা তাদের ষড়যন্ত্র রুখে দিয়েছেন। চট্টগ্রামে কোনো হামলা হতে দেননি। এই যে হামলা হচ্ছে না, তার ফলে আওয়ামী গুণ্ডাবাহিনী নিজেরাই এখন হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলা করছে।

জোনায়েদ সাকি বলেন, আজও একটি হামলার চেষ্টা করেছে বলে শুনেছি। তাই সম্মিলিত প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। যারা হিন্দু সমপ্রদায়ের ওপর হামলা করবে তারা ফ্যাসিস্টদের দোসর, দেশিবিদেশি এজেন্ট। তারা বাংলাদেশের অভ্যুত্থানকে, এ সরকারকে ধ্বংস করতে চায়। তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার এখনও জনগণের প্রত্যাশা অনুযায়ী সবকিছু ঠিক করতে হয়তোবা পারেনি। আমরা তার জন্য তাদের সমালোচনা করেছি। কিন্তু তারপরও এই অন্তর্বর্তী সরকার তাদের দায়িত্ব যথাসম্ভব জনগণের স্বার্থ অনুযায়ী পরিচালনা করছে। আমরা তাদের সহযোগিতা, সমালোচনা করব। নতুন রাজনৈতিক বন্দোবস্তের জন্য গণতান্ত্রিক সংবিধান, রাষ্ট্রের সংস্কার, আইনের সংস্কার আর গণতান্ত্রিক নির্বাচন দরকার। আসুন আমরা সে নির্বাচনে ঐক্যবদ্ধ হই, গণতান্ত্রিক শক্তি গড়ে তুলি। চট্টগ্রাম জেলা গণসংহতি আন্দোলনের সমন্বয়কারী হাসান মারুফ রুমীর সভাপতিত্বে ও নাসির উদ্দিন তালুকদারের সঞ্চালনায় এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন ফেনী জেলা গণসংহতির সমন্বয়ক কায়কোবাদ, চট্টগ্রাম জেলার যুগ্ম সমন্বয়কারী মো. হারুন, মিরসরাইয়ের আহ্বায়ক শাম্মাসুদ্দীন মোহাম্মদ, সন্দ্বীপের সাংগঠনিক সচিব নাজিম উদ্দীন আরিফ, শিক্ষক প্রতিনিধি রিদোয়ান ফরহাদ, ছাত্রনেতা শওকত ওসমান তৌকির, ওবায়দুল্লাহ, কলি কায়েয, গার্মেন্ট শ্রমিক সংহতির নেতা রয়েন মারমা ও মো. সোহাগ প্রমুখ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধফ্যাসিস্টমুক্ত আন্দোলনে জাসাস কর্মীদের আত্মত্যাগ ইতিহাস হয়ে থাকবে
পরবর্তী নিবন্ধসাইফুলের খুনিদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে