জর্ডানে সিরিয়া সীমান্তের কাছে এক মার্কিন ঘাঁটিতে ড্রোন হামলায় যুক্তরাষ্ট্রের তিন সেনা নিহত ও ৩৪ জন আহত হওয়ার ঘটনায় ইরানকে দোষারোপ করেছেন প্রেসিডেন্ট বাইডেন। এরপরই ইরানে সরাসরি হামলা চালাতে বাইডেনের ওপর রাজনৈতিক চাপ বাড়ছে। যদিও জর্ডানে ওই হামলার ঘটনায় ইরান তাদের কোনো যোগসূত্র নেই বলে দাবি করেছে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলছেন, ইরাক এবং সিরিয়ায় তৎপর ইরান–সমর্থিত জঙ্গি গোষ্ঠীগুলো জর্ডানের ঘাঁটিতে হামলা চালিয়েছে। বৃহত্তর পরিসরে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কায় বাইডেন সরাসরি কোনও পাল্টা সামরিক হামলার পদক্ষেপ নেওয়ার ব্যাপারে এতদিন অনিচ্ছুক ছিলেন। খবর বিডিনিউজের। তবে এবারের হামলার ঘটনার পর রোববার সাউথ ক্যারোলাইনায় বাইডেন এক নির্বাচনী প্রচার সমাবেশে বলেছেন, আমরা এ হামলার জবাব দেব। তবে এ ব্যাপারে বিস্তারিত আর কিছু বলেননি তিনি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, জর্ডানে প্রাণঘাতী ওই হামলার জবাবে বাইডেন ইরানের বাইরে এমনকি ভেতরেও ইরানি বাহিনীর ওপর হামলা চালাতে পারেন। কিংবা শুধুমাত্র ইরান–সমর্থিত মিলিশিয়াদের বিরুদ্ধে আরও সতর্কতার সঙ্গে প্রতিশোধমূলক হামলার পথও বেছে নিতে পারেন। গত বছরের অক্টোবরে ইসরায়েল–হামাস যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে মধ্যপ্রাচ্যে মার্কিন বাহিনীকে ইরাক, সিরিয়া, জর্ডান এবং ইয়েমেন উপকূল থেকে ইরান–সমর্থিত বাহিনী ১৫০ বারেরও বেশি আক্রমণ করেছে। তবে সিরিয়ার সঙ্গে জর্ডানের উত্তর–পূর্ব সীমান্তের কাছে টাওয়ার ২২ নামে পরিচিত দূরবর্তী একটি চৌকিতে রোববারের হামলার আগ পর্যন্ত আগের কোনও হামলাতেই মার্কিন সেনা নিহত কিংবা এত বেশি সেনা আহত হয়নি। আর এ কারণেই এবার রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এই হামলার প্রতিশোধ নেওয়ার হুংকার দিয়েছেন বাইডেন। ইরানে সরাসরি হামলা করার জন্য তার ওপর রাজনৈতিক চাপও তাই আরও বেড়ে গেছে। যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের আগে দিয়ে প্রচারাভিযানের মাঠে থাকা রিপাবলিকানরা বাইডেনের ওপর চাপ বাড়াতে একটুও কালক্ষেপণ করেনি।