ইরানে পুলিশি হেফাজতে এক তরুণীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সপ্তাহের বেশি সময় ধরে চলমান বিক্ষোভ ‘চূড়ান্ত ব্যবস্থা’ নেওয়ার মধ্য দিয়ে দমনের অঙ্গীকার করেছেন প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। বহু বিক্ষোভকারী এরই মধ্যে গ্রেপ্তার হয়েছে। বিক্ষোভে মৃতের সংখ্যা ৩৫ জনে দাঁড়িয়েছে। বিক্ষোভ ছড়িয়ে গেছে ৩১ টিরও বেশি প্রদেশজুড়ে। কয়েকটি নগরীতে সংঘর্ষ চলছে। এ পরিস্থিতির মধ্যেই বিক্ষোভ দমনে আরও কঠোর হওয়ার বার্তা দিলেন ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি। তিনি বিক্ষোভকারীদের দাঙ্গা সৃষ্টিকারী আখ্যা দিয়েছেন এবং বলেছেন, দেশের নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার বিরুদ্ধে যারা কাজ করবে তাদের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। খবর বিডিনিউজের।
ইরানের নীতি পুলিশের হেফাজতে ২২ বছরের তরুণী মাশা আমিনির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে গত সপ্তাহ থেকে দেশজুড়ে সরকারবিরোধী বিক্ষোভ চলছে। গত সপ্তাহে ইরানের কুর্দিস্তান থেকে রাজধানী তেহরানে আসা ২২ বছর বয়সী নারী মাশা আমিনিকে হিজাব আইন লংঘনের দায়ে গ্রেপ্তার করেছিল নগরীর নীতি পুলিশ। গত শুক্রবার তাদের হেফাজতে মাশার মৃত্যু হয়। মারা যাওয়ার আগে ওই তরুণী তিনদিন কোমায় ছিলেন। মানবাধিকার বিষয়ে ইরানে জাতিসংঘের ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার নাদা আল-নাশিফ বলেন, তারা জানতে পেরেছেন নীতি পুলিশ আমিনির মাথায় লাঠি দিয়ে মেরেছে এবং তাদের একটি গাড়ির সঙ্গে আমিনির মাথা জোরে ঢুকে দিয়েছে। নীতি পুলিশের পক্ষ থেকে অবশ্য এইসব অভিযোগ অস্বীকার করা হয়। তাদের দাবি, আমিনি হঠাৎই হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তবে আমিনির পরিবার বলেছে, সে একেবারেই সুস্থ এবং সবল ছিল। ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেছেন, ওই নারীর মৃত্যুর ঘটনা তদন্ত করে দেখা হবে। ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ ভাহিদিও জোর দিয়ে বলেছেন, আমিনিকে মারধর করা হয়নি।