ইরানের রাজধানী তেহরান ও পশ্চিমাঞ্চলীয় দু’টি প্রদেশের সামরিক স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার নিন্দা জানিয়েছে বেশ কয়েকটি আরব রাষ্ট্র। তাদের আশঙ্কা, হামলার ফলে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরও বাড়বে। রয়টার্স জানায়, ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অব্যাহত উত্তেজনা বৃদ্ধিতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। খবর বিডিনিউজের।
আঞ্চলিক শক্তি সৌদি আরবও ইসরায়েলের নাম উল্লেখ না করে ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোকে লক্ষ্যস্থল করার মাধ্যমে দেশটির সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছে। হামলা আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলেও মন্তব্য করেছে রিয়াদ, জানিয়েছে সৌদি প্রেস এজেন্সি (এসপিএ) । কাতার ও কুয়েত পৃথকভাবে ইরানে ইসরায়েলি হামলার নিন্দা জানিয়েছে। হামলার ঘটনায় আঞ্চলিক উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পেতে পারে উল্লেখ করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে মিশর। যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র আরব রাষ্ট্র সৌদি আরব ও সংযুক্ত আরব আমিরাত (ইউএই) বিশ্বের শীর্ষ দুই তেল রপ্তানিকারী রাষ্ট্র। গত কয়েক বছর ধরে রাষ্ট্র দু’টি বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে সংঘাত থেকে সরে তাদের অর্থনৈতিক স্বার্থকে প্রাধান্য দেওয়া শুরু করেছে। এ পথে অগ্রসর হয়ে তারা তাদের সাবেক প্রতিপক্ষ ইরানের সঙ্গে সম্পর্ক মেরামত করেছে।
শনিবার সামাজিক মাধ্যম এক্স এ দেওয়া এক পোস্টে আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্টের কূটনীতি বিষয়ক উপদেষ্টা আনোয়ার গারগাস লিখেছেন, এক বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা সামরিক সংঘাত ও সেগুলোর দুর্ভাগ্যজনক মানবিক ও রাজনৈতিক প্রতিফলের পর এই অঞ্চলের একটি ভিন্ন পথ দরকার যেটি কূটনৈতিক প্রক্রিয়া ও রাজনৈতিক সমাধানের দিকে নিয়ে যাবে এবং যোগাযোগ ও সংলাপের পরিস্থিতি তৈরি করে উত্তেজনা, সংঘাত হ্রাসে ভূমিকা রাখবে। মধ্যপ্রাচ্যের আরব দেশগুলো এতোদিন ইরানকে তাদের অঞ্চলিক প্রতিপক্ষ হিসেবে দেখে আসলেও ইসরায়েলের হামলার আগে তারা তেহরানকে নিবিড় কূটনীতিতে যুক্ত করে নিয়েছিল। এ সময়টিতে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি আঞ্চলিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করতে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে সফর করেন। ইসরায়েলের হামলার কয়েকদিন আগে আরাগচি দাবি করেছিলেন, বেশ কয়েকটি দেশ তাকে আশ্বস্ত করেছিল ইরানে হামলার জন্য ইসরায়েলকে তাদের আকাশসীমা ব্যবহার করতে দেবে না তারা।